ভিয়েতনামে দূতাবাসের উদ্যোগে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২১

বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়, ভিয়েতনামে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির’ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যরা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ইতোমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং এই দিবসটি স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে তার অবিস্মরনীয় আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিশেষ এক মহতী ব্রত উপলক্ষে ভিয়েতনাম কেন্দ্রীয় আর্মি হাসপাতালে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

jagonews24

রাষ্ট্রদূত নিজে রক্তদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মচারী ও ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় এই রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতকে ভিয়েতনামের মিলিটারি হাসপাতালের উপ-পরিচালক বিশেষ ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ। এ কাজে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেমন আরো গভীর হবে।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় সংগৃহীত রক্ত অনেক পীড়িত ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ গঠনে যে অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ও অবদান রেখেছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান করে বাংলাদেশ দূতাবাস এই মহান নেতার প্রতি তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এই কর্মসূচি বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি নিদর্শন হিসেবেও উল্লেখ্য। রক্তদান কর্মসূচি সমাপান্তে দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মুজিববর্ষের লোগো সংবলিত স্যুভেনির মগ উপহার দেয়া হয়।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com