সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
ঘুমিয়ে থাকা, ভুলে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ফরজ নামাজ ছুটে গেলে পরে তার কাজা আদায় করতে হয়

ঘুমিয়ে থাকা, ভুলে যাওয়া, অসুস্থতা বা কোনো অসুবিধার কারণে কোনো ওয়াক্তের ফরজ বা ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে না পারলে ওই নামাজ পরবর্তীতে আদায় করা আবশ্যক। আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ. فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لذكري

ঘুমিয়ে থাকার কারণে নামাজ আদায় করতে না পারলে তা অন্যায় নয়। অন্যায় হলো জেগে থেকেও নামাজ আদায় না করা। তোমাদের কেউ নামাজ আদায় করতে ভুলে গেলে অথবা নামাজের সময় ঘুমিয়ে থাকলে, যে সময়েই নামাজের কথা স্মরণ হবে, নামাজ আদায় করে নেবে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমার স্মরণে নামাজ আদায় কর। (সুরা ত্বহা: ১৪)। (সহিহ মুসলিম: ৬৮১)

হাদিসে নবিজির (সা.) কাজা নামাজ আদায়ের নির্দেশ ফরজ ও ওয়াজিব নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সুন্নত বা নফল নামাজের ক্ষেত্রে নয়। অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গেলে সেই ওয়াক্তের শুধু ফরজ নামাজের কাজা আদায় করতে হয়। সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হয় না।

শুধু ফজরের সুন্নতের ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরাম বলেন, কারো যদি ফজরের নামাজ ছুটে যায় এবং তিনি ওই দিন মধ্যাহ্নের আগেই কাজা আদায় করেন, তাহলে তিনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নতসহই ফজরের কাজা নামাজ আদায় করতে পারেন। নবিজির (সা.) ফজরের নামাজ ছুটে গেলে তিনি সূর্যাস্তের পর ফজরের সুন্নতসহ কাজা আদায় করেছেন বলে বর্ণিত রয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ১৪৪৮)

জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর ফজরের কাজা নামাজ আদায় করলে অন্য ওয়াক্তের সুন্নতের মতো ফজরের সুন্নতের কাজা আদায়েরও প্রয়োজন নেই।

কাজা নামাজের নিয়ত যেভাবে করবেন

যে কোনো নামাজের আগে কোন নামাজ কত রাকাত পড়ছেন তা মনে মনে স্থির করে নেওয়ার নামই হলো নিয়ত। নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়। নিয়তের জন্য নির্ধারিত কোনো বাক্যও নেই।

কাজা নামাজের ক্ষেত্রেও বিধান একই। কোন দিনের কোন ওয়াক্তের কাজা নামাজ আদায় করছেন, তা মনে মনে স্থির করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করে দিলেই হবে। নিয়তের জন্য নির্ধারিত কোনো আরবি বা বাংলা বাক্য বলার প্রয়োজন নেই।

কারো যদি কাজা নামাজ অনেক বেশি হয় এবং কাজা হওয়ার দিন-তারিখ মনে না থাকে, তাহলে এভাবে নিয়ত করবে যে আমার জিম্মায় কাজা হিসেবে থাকা সর্বশেষ জোহরের নামাজের কাজা আদায় করছি। এভাবে প্রত্যেক ওয়াক্তের কাজা নামাজ আদায় করার সময় নিয়ত করতে হবে। যতদিন তার মন এ সাক্ষ্য না দেবে যে তার জিম্মায় আর কোনো কাজা নামাজ বাকি নেই, ততদিন পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করতে থাকবে।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।