ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করে ফেললে করণীয়

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ২১ মে ২০২৫
মুসলমানরা সারা পৃথিবী থেকে হজের জন্য মক্কায় যাচ্ছেন

ইহরাম অবস্থায় কিছু ভুলত্রুটির কারণে দম ওয়াজিব হয়। কিছু ভুল-ত্রুটির সদকা ওয়াজিব হয়। দম মানে একটা পূর্ণ ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা অথবা গরু, মহিষ ও উটের এক-সপ্তমাংশ জবাই ও দান করা। আর সদকা মানে এক ফিতরা পরিমাণ (সর্বনিম্ন এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা এর সমমূল্য) দান করা। দমের প্রাণী কোরবানির উপযুক্ত হওয়া এবং হারামের সীমার ভেতরে জবাই হওয়া জরুরি।

যেসব কারণে দম ওয়াজিব হয়, তার একটি হলো ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার। হজ ও ওমরাহর গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরাহর নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরাম পরিধানের পর বৈধ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায়। এর মধ্যে সুগন্ধি ব্যবহার অন্যতম।

ইহরাম অবস্থায় মাথা, চেহারা, দাড়ি, হাত, হাতের তালু, পায়ের গোছা, রান ইত্যাদি বড় অঙ্গের সব জায়গায় সুগন্ধি লাগালে দম ওয়াজিব হবে। অর্থাৎ হারামের সীমার ভেতরে (মিনা বা মক্কায়) কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগল বা দুম্বা জবাই করে তার মাংস দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে সুগন্ধি লাগালে যদি তা একত্র করলে বড় অঙ্গের সমপরিমাণ হবে বলে মনে হয়, তাহলেও দম ওয়াজিব হবে।

ইহরাম অবস্থায় কেউ যদি কাপড়ে সগন্ধি লাগায় বা সুগন্ধি লাগানো কাপড় পরিধান করে, তাহলে সুগন্ধির পরিমাণ এক বর্গবিঘত বা তার বেশি হলে এবং পূর্ণ এক রাত বা পূর্ণ এক দিন পরিধান করলে দম ওয়াজিব হবে। আর সুগন্ধির পরিমাণ তার চেয়ে কম হলে বা পূর্ণ এক রাত বা পূর্ণ এক দিনের কম সময় পরিধান করলে সদকা ওয়াজিব হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা এর সমমূল্য দান করে দিতে হবে।

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।