ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ফেসবুক

বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচলনকারী ও টিভি উপস্থাপক শফিক রেহমানকে আটক ও রিমান্ডে নেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
তারুণ্যের প্রতিনিধি শফিক রেহমানকে শনিবার আটকের পর থেকেই মূলত বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ ছিল বেশ লক্ষণীয়।
শনিবার সিএমএম আদালত শফিক রেহমানের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর সোহেল রানা নামের তার এক ভক্ত ফেসবুকে লেখেন, ‘মানুষটার বয়স ৮০ বছরের বেশি, প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ তাকে আদালত হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সেই অবস্থায় তার হাসিমুখ প্রমাণ করে তিনি কোনো অপরাধ করতে পারেন না। আমি শফিক রেহমান সাহেবের মুক্তি চাইব না, আমি জানি যাদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ মানবিকতা আছে তারা কোনদিনও এই রকম নেক্কারজনক কাজ করতে পারে না। তবে কথা দিচ্ছি শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা অবস্থায় ওদের সাথে কোন দিন আপোষ করব না’।
আবদুল গাফফার নামে শফিক রেহমানের আরেক ভক্ত তার ফেসবুকে ওয়ালে লেখেন,‘সরকার মুটিভ পরিবর্তন করে এখন দেশের বুদ্ধিজীবী গ্রেফতার শুরু করেছে, লক্ষণ ভাল মনে হচ্ছে না। আজ (শনিবার) সকাল ৮ টায় শফিক রেহমান সাহবকে গ্রেফতার করে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থানরত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীও ফেসবুকে শফিক রেহমানকে আটক পরবর্তীতে রিমান্ডে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আটক করতে যে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে এই অবৈধ সরকারের ডিটেক্টিভ পুলিশ তা ভাবা যায়!’
‘সাংবাদিক পরিচয়ে বৈশাখী টিভির নাম নিয়ে ক্যামেরাসহ বাসায় ঢুকে সাহসী কিংবদন্তি তুল্য এই বয়োবৃদ্ধ সাংবাদিককে আটকের ঘটনা ইতরামির সব সীমাকে লঙ্ঘন করেছে। জন্মের ঠিক না থাকলে যেমন অন্য পরিচয় ধারণ করতে হয় এরা যেনো তাই করছে। অথচ জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় তিলেতিলে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির এই গুরুত্বপূর্ণ অনু বিভাগ গড়ে উঠেছে। সরকারের অবৈধ হুকুম তামিল করতে তারা নিজেদের কতো নীচে নামিয়ে এনেছে তা ভাববার বিবেক কি কারো অবশিষ্ট আছে? এমন গর্হিত কাজে বৈশাখী টিভির সংযুক্তি তাদের যোগসাজশে না অজ্ঞাতসারে তা জানার বড্ড ইচ্ছা। সাংবাদিকতার সবক দেন এমন ডাকসাঁইটে অনেকেই তো আছেন ডেসটিনি গ্রুপের ওই টিভি চ্যানেলটির সাথে।’
সোহাগ খান নামে আরেক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, শফিক রেহমান স্যারকে অ্যারেস্ট করার পর থেকে আত্মীয় স্বজনদের ফোন আসা শুরু হয়েছে, আমেরিকা থেকে একজন কল দিয়ে কয়, সোহাগ ভাই মাঠের রাজনীতি ছাড়লেন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে কিন্তু এখনতো সাংবাদিকদের সিরিয়াল করে ধরতেছে। পারলে পালান হাসুদি কাউকেই ছাড়বেন না।’
এদিকে ফেসবুকে সাঈফ মাহমুদ জুয়েল আইডি থেকে আরেকজন লিখেছেন, বরেণ্য কলামিস্ট শফিক রেহমান কে গ্রেফতার করে সরকার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরচারী মনোভাবের চরম রূপ প্রকাশ করলো! এই গুণীজন, প্রথিতযশা সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
এমএম/এসকেডি/এমএস