হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতার জায়গা কোথায়?

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজনা বাজতে শুরু করেছে। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নিয়েও রিকি পন্টিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকারা আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতার জায়গা খুঁজে বের করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম 'হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা'ও।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যে দিকগুলো উঠে এসেছে...
শক্তি: এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশ সবচেয়ে শক্তিশালী। তারা এশিয়া কাপের ফাইনালিস্ট, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা দলে থাকায় ‘টাইগারদের’ হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। সবচেয়ে বড় শক্তি হল সৌম্য সরকার, তানজিম হাসান সাকিব, সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের মতো বহু-উপযোগী ক্রিকেটারদের দলে থাকাটা।

দুর্বলতা: ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতা সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য সমস্যার কারণ। পারফর্ম না করতে পারায় লিটন দাসের মতো ক্রিকেটার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। পাওয়ারপ্লেতে লিটন বাংলাদেশের একটি সম্পদ হতে পারতো, কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না এবারের টুর্নামেন্টে। অন্যদিকে বাংলাদেশের দলে জায়গা পাননি সাকিব আল হাসান। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের না থাকাটা অবশ্যই একটা ধাক্কা বাংলাদেশের জন্য।

সুযোগ: দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে, যদি পিচ কিছুটা ধীরগতির হয়, তবে বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী এবং লেগ-ব্রেক বোলার রিশাদ হোসেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমানকে ভুলে গেলে চলবে না।

চিন্তার বিষয়: আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ছয় ওয়ানডেতে পাঁচটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। তারা বিপিএল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার পর ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আসছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্তসহ বাংলাদেশের টপ অর্ডারের থাকা ক্রিকেটাররা এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঠিকভাবে পরীক্ষিত নয়। তাদের খুব বেশি এক্স-ফ্যাক্টর প্লেয়ার নেই, যারা একটি কঠিন পরিস্থিতি থেকে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।

এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।