দ্বিতীয় ম্যাচেও কী ভুল পথে হাঁটবে টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্ট?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫

কি বোলার, কি ব্যাটার- কারো পারফরমেন্স ভাল না। শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজেই নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর পুরো দল যেন পাল্লা দিয়ে খারাপ খেলতে শুরু করেছে। সবাই একসঙ্গে ফ্লপ। একজন ক্রিকেটারও সে অর্থে ফর্মে নেই। ছন্দে নেই।

ব্যাটিং, বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশ দলকে রীতিমত এক ছন্নছাড়া দল মনে হচ্ছে। পারফরমেন্সের গ্রাফ নিচে থাকায় মনোবল, আত্মবিশ্বাসও গেছে কমে। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দল যেন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।

এরকম অগোছালো ও অবিন্যস্ত অবস্থা আরও ঘনিভূত হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের অদুরদর্শী ও অপরিনামদর্শিতায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দল সাজানোয় চোখে পড়ছে চরম অদক্ষতা। অদুরদর্শিতা।

যাকে খেলানো দরকার, তাকে খেলানো হচ্ছে না। যার যেখানে খেলার কথা তাকে সেখানে না খেলিয়ে খেলানো হয়েছে অন্য জায়গায়। তাতে পারফরমেন্স হয়েছে আরও খারাপ।

নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময় যার ব্যাট থেকে প্রায় নিয়মিত রান এসেছে, সেই জাকের আলী অনিককে হঠাৎই খেলানো হয়নি দ্বিতীয় ম্যাচে।

অধিনায়ক হলেও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে যার ব্যাট সেভাবে কথা বলছে না, সেই লিটন দাসকে ওয়ান ডাউনে খেলানো হয়েছে। লিটন কিছুই করতে পারেননি। প্রথম উইকেটে ৫ ওভারে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তিন নম্বরে খেলতে নেমেও লিটন দাস প্রায় দ্বিগুণ ১১ বল খেলে ৫ রানে আউট হয়ে ছন্দপতন ঘটিয়েছেন। লিটন দাসের জায়গায় অনায়াসে ইনফর্ম নাইম শেখকে খেলানো যেত। বলার অপেক্ষা রাখেনা , ঘরোয়া ক্রিকেটে গত এক বছরের বেশী সময় ধরে ওপেনিং আর ওয়ান ডাউনে ভাল খেলে রান করে জাতীয় দলে ঢুকেছেন নাইম শেখ। তাকে টপ অর্ডারে না নামিয়ে নামানো হয়েছে ৪ নম্বরে।

সাধারণত টপ অর্ডারে ব্যাট করতে অভ্যস্ত নাইম নিচের দিকে খেলতে নেমেও ২৯ বলে সমান একটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ রানে নট আউট ছিলেন। একইভাবে আজকাল যার ব্যাট মোটামুটি স্বচ্ছন্দ, সাবলীল- সেই শামীম পাটোয়ারীকেও অনেক নিচে, ৭ নম্বরে খেলানো হয়েছে। মাত্র ৫ বল খেলার সুযোগ পাওয়া শামীম পাটোয়ারী ২ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

একইভাবে পেস বোলিংয়ের সাথে ব্যাটিং পারেন, সেই বিবেচনায় দলে আসা সাইফউদ্দীন ব্যাট করারই সুযোগ পাননি। সবার মত ত্রুটিপূর্ণ একাদশ আর ভুল ব্যাটিং লাইনআপের কারণেই হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখেও বড় ও লড়াকু পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। ১৫৩ রানেই আটকে থেকেছে। ভুলেভরা ব্যাটিং লাইনআপের অসামাঞ্জস্যতা নিয়েই রাজ্যের কথাবার্তা।

অনেকের মত, ত্রুটিপূর্ণ দল নির্বাচন আর অকার্যকর ব্যাটিং লাইনআপে ভুলটাই প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজয়ের বড় কারণ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভক্তদের একটাই প্রশ্ন, আগামীকাল ১৩ জুলাই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও কি এমন খাপছাড়া দলই খেলবে? টিম ম্যানেজমেন্ট কি আবারো ভুল পথে হাঁটবে? প্রথম ম্যাচে করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নাঈম শেখ আর শামীম পাটোয়ারীকে আরও ওপরে খেলানো হবে, নাকি সেই ভুল পথেই হাঁটবে লিটনের দল? সেটাই দেখার।

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।