আইএল টি-টোয়েন্টি থেকে যা শিখেছেন তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক , সিলেট থেকে
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আইএল টি-টোয়েন্টি ও আবুধাবি টি-টেন। টানা দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে ৪২ দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের টানা এতদিন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পাওয়াটা কয়েকদিন আগেও ছিল কল্পনাতীত। তবে বিসিবি নিজেদের অবস্থান বদল করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও এখন বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন লম্বা সময় ধরে। বিসিবির এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেখার গল্প শুনিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

সোমবার সিলেটে ঢাকা ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেন তাসকিন। অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইএল টি-টোয়েন্টি ও আবুধাবি টি-টেনে খেলার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন এই পেসার।

তাসকিন বলেন, ‘সত্যি করে বলে, এটা বড় একটা লিগ। প্রত্যেকটা টিমের ব্যাটিং সাইড বেশ স্ট্রং। দেখতাম যখন একটার পর একটা ব্যাটার আসছে, ইজি ছিল না বোলার হিসেবে। চেষ্টা করেছি। যতটুকু যা হয়েছে এটা আমার ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাস দেবে। যাতে আমি আরো ভালো করতে পারি। কালচার ওয়াইজ প্রফেশনালিজম সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল এখানে। এই জিনিসগুলো থেকে যতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করেছি, এটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলেও প্রভাব পড়বে। ফিজ (মোস্তাফিজ) যা শিখছে, আমি যা শিখলাম রিশাদ যা শিখলো। বাংলাদেশ টিমেও এর ইম্প্যাক্ট পড়বে। ফাইভ পার্সেন্ট হলেও ইম্প্রুভমেন্ট আসবে এটা থেকে।’

আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলে বিপিএল ও বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং নিজের পারফর্মেন্স নিয়েও কথা বলেছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আসলে ভালোর তো শেষ নাই। যাই হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি প্রথমবারের মতো আইএল খেললাম। আমরা তিনজন বাংলাদেশি ছিলাম। আবার রিশাদও বিগ ব্যাশ খেলছে। আমাদের জন্য একটা ভালো এক্সপেরিয়েন্স হচ্ছে। ফিজ মাশাল্লাহ অনেক ভালো করেছে। আমি হয়তো মোটামুটি ভালো করছি। রিশাদও ভালো করছে। এটা ডেফিনেটলি ইন ফিউচারে আমাদের বিপিএল আছে এটা খেলার পর ওয়ার্ল্ড কাপটা যখন যাব, আমাদের একটা ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে।’

বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য এনওসি পেতে আগে ক্রিকেটারদের নানা ঝামেলা পোহাতে হতো। এখন তুলনামূলক সহজ হয়েছে প্রক্রিয়াটা। এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘এনওসি নিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ যত খেলবো বিভিন্ন জায়গার ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার, অনেক কিছু শেখার আছে ওইখানে। এর সঙ্গে ভিন্ন কোচিং প্যানেল থাকে এবং সবাই সবার এক্সপেরিয়েন্সটা শেয়ার করে। যেটা নিজের ক্রিকেটে উন্নতি করতে অনেক সহায়তা হবে। বোর্ডকে ধন্যবাদ যে, তারা এনওসি দেওয়া শুরু করেছে এবং এটা আমাদের ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের জন্য একটা পজিটিভ সাইন হবে আশা করছি।’

এসকেডি/এমএমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।