কোহলির অসততা নিয়ে আকাশ চোপড়া; ওটা ছিল শতভাগ ফেক ফিল্ডিং

বিশ্বকাপেই কেন যেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আম্পায়ার, রেফারি, সর্বোপরি আইসিসির সমস্ত সমর্থন, সহযোগিতা এবং পক্ষপাতিত্ব- সব পেয়ে থাকে ভারত। ২০১৫ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দেখা গিয়েছিল এ দৃশ্য। এবার ২০২২ বিশ্বকাপেও এমন দেখা গেলো। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ৫ রানে জিতলেও সেটা থেকে গেলো চরম বিতর্কিত একটি ম্যাচ হিসেবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮৪ রান করেও ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ছিল খুবই ক্ষীণ। লিটন দাস যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন, তাতে পরাজয়ের শঙ্কাই ফুটে উঠেছিল। কিন্তু সেই শঙ্কা কাটিয়ে দেয় বৃষ্টি। যদিও পরাজয়ের শঙ্কায় তারা কতটা আতঙ্কিত ছিল, সেটা বিরাট কোহলির অখেলোয়াড়োচিত আরচরণ দেখেই বোঝা গেছে।
ফেক ফিল্ডিং করে ব্যাটারদের মনসংযোগে ব্যঘাত ঘটিয়ে তাদের আউট করতে চেয়েছিলেন। যদিও আম্পায়ার সে দিকে কোনো নজরই দেননি। এমনকি বাংলাদেশের ব্যাটাররা সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ নেননি। টিভি রিপ্লে না দেখে ৫টি পেনাল্টি রান থেকে বঞ্চিত করেছেন আম্পায়াররা।
বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু আম্পায়ার সে অভিযোগ আমলে না নেয়ায় এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় নানা বিতর্ক। আইসিসির কাছে বাংলাদেশ অভিযোগ জানাবে বলেও জানানো হয়।
ফেক ফিল্ডিংয়ের বিষযটা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্কের প্রেক্ষিতে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতের সাবেক ব্যাটার এবং ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক এই তারকা প্রথমে টুইটারে ভক্তদের ফেক ফিল্ডিংয়ের নিয়ম জানিয়ে দেন। এরপরে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পুরো বিষয়টি নিয়ে মতামত দিয়েছেন। আকাশ চোপড়া বলেছেন যে, বিরাট কোহলি ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন তবে তাকে শাস্তি দেওয়া আম্পায়ারের কাজ। তিনি যদি কোহলিকেও ধরতে না পারেন, তাহলে বাকি বিতর্ক অর্থহীন।
আকাশ চোপড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘এটা ফেক ফিল্ডিং ছিল, শতভাগ ফেক ফিল্ডিং ছিল, তিনি যে থ্রো মারার চেষ্টা করছিলেন সেটা যদি আম্পায়ার দেখতে পেতেন তাহলে ভারতকে পাঁচ রানের জরিমানা করতেও পারতেন। আচ্ছা! চুরি সেটাই যেটা ধরা পড়ে না। কেউ এই বিষয়টি খেয়াল করেনি। এখন কী করবেন, যখন পাখি খেত থেকে দানা খেয়ে চলে গেল!’
আকাশ চোপড়া একই ইস্যু নিয়ে টুইট করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন এটি কি ফেক ফিল্ডিং? এক ভক্তের জবাবে তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারই প্রথম সতর্কবাণী দেন। এর পরে, আকাশ চোপড়া ভক্তকে উত্তর দিতে গিয়ে নিয়মগুলি ব্যাখ্যা করেছিলেন।
এই টুইটার ব্যবহারকারীকে উত্তর দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটা ঠিক নয়। আম্পায়াররাই এটাকে ফেক ফিল্ডিং হিসেবে বিবেচনা করবেন, এবং তারাই ঠিক করবেন ফিল্ডিং করা দলকে পাঁচ রানের জরিমানা দেবেন কি না। সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আম্পায়ারের উপর। এরপর কি তিনি এই বলটিকে ডেড বল হিসেবে ঘোষণা করেন? প্রথমবার এমন করার শাস্তি আছে, আইসিসির নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে প্রথমে সতর্ক করে তারপর শাস্তি দেওয়া হয়।’
বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ওই ৫ রানেই হেরেছে ভারতের কাছে। যদি ফেক ফিল্ডিংয়ে ৫ রান যোগ করা হতো, এই ম্যাচে বিজয়ী হতো বাংলাদেশই।
আইএইচএস/