ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে শুভ সূচনা চ্যাম্পিয়ন গুজরাটের

আইপিএলে নাম লিখিয়েই বাজিমাত করেছিলো হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স। প্রথম আসরেই পরেছিলো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। সে ধারাবাহিকতা নিজেদের দ্বিতীয় আসরেও ধরে রাখার ইঙ্গিত দিলো গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
গত আসরেও ধোনির চেন্নাইকে দু’বার হারিয়েছিলো, এবারও সেই চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ব্যাটার ঋুতুরাজ গায়কোয়াড়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংও কোনো কাজে আসলো না চেন্নাইয়ের। চার বল হাতে রেখেই চেন্নাইয়ের করা ১৭৮ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করে ফেলে গুজরাট।
টস জয় যেন ম্যাচ জয়ের অর্ধেক কাজ সহজ করে দেয়। এ কারণে টস ভাগ্য বিশাল একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আইপিএলসহ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এবারের উদ্বোধনী ম্যাচেও টস জিতলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। টস জিতেই তিনি ব্যাট করতে পাঠান ধোনির চেন্নাইকে।
ঋুতুরাজ গায়কোয়াড়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বড়সড় পুঁজি গড়ে তোলে চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে গুজরাটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। শেষ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। প্রথম বলই ওয়াইড। এরপরের বলে তুষার ডেসপান্ডেকে ছক্কা মেরে দেন রাহুল তেওয়াতিয়া। পরের ৫ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিন্তু দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরেই জয় উদযাপন করে গুজরাট।
অনেক পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছে এবারের আইপিএল। দুই দলই ব্যবহার করেছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার। দেখা গেছে ওয়াইডের রিভিউ নিতেও। ম্যাচের প্রথমভাগে সব আলো কেড়ে নেন ঋতুরাজ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলকে এই ওপেনারই চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন। যদিও তাকে অপরপাশ থেকে ভালো সঙ্গ কেউ দিতে পারেননি।
ঋতুরাজের ৫০ বলে খেলা ৯২ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে মঈন আলির ব্যাট থেকে। অধিনায়ক ধোনি ৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবুও ১৭৮ রানের ইনিংস গড়ে তারা। ঋুতুরাজের ইনিংসটি ৪টি বাউন্ডারি এবং ৯টি ছক্কায় সাজানো ছিল।
রশিদ খান ২৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ শামি, অ্যালজারি জোসেফও নেন ২টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে গুজরাটের জয়ে মোটামুটি অবদান রাখেন সবাই। অধিনায়ক পান্ডিয়া শুধু দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
আম্বাতি রাইডুর জায়গায় তুষার দেশপান্ডেকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলায় চেন্নাই। এই পেসারের উপর দিযেই যায় সবচেয়ে বড় ঝড়। ৩ ওভার ২ বল করে ৫১ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। হজম করেন চারটি করে ছক্কা ও চার।
১৬ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রানের ইনিংস খেলে গুজরাটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসন ব্যাট করেননি। তার জায়গায় তিনে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন সাই সুদর্শন। তিন চারে তিনি করেন ২২ রান।
তবে, গুজরাটের জয়ে বড় অবদান রাখেন শুভমান গিল। ৩৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ৫ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। দুটি আঁটসাঁট ওভারে কঠিন হতে বসেছিল সমীকরণ। তবে রশিদ (৩ বলে ১০) ও রাহুল তেওয়াতিয়া (১৪ বলে ১৫) দলকে অনায়াসেই জয় উপহার দেন।
আইএইচএস/