ট্রায়াল থেকে কতজন বাছাই করলো বাফুফে!
খেলোয়াড়দের হাতে সনদ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া পর্ব শেষ হওয়ার পর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠে ঢোকা উৎসুক দর্শকের অনেকেরই প্রশ্ন কে কে চান্স পেলো? মানে ট্রায়ালে কারা টিকলো, সেটা জানার আগ্রহ তাদের। যদিও বাফুফে এখনো তেমন কিছু ঘোষণা করেনি। এমনকি ট্রায়াল শেষে ট্রয়ালের আউটপুট নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্যও দেননি দায়িত্বশীল কেউ।
যতটুকু জানা গেছে, এক-দুই দিনের মধ্যে বাফুফে সংবাদ সম্মেলন করতে পারে ট্রায়ালের প্রাপ্তি নিয়ে, যেমন করেছিল ট্রায়াল শুরু উপলক্ষে। তবে বাফুফে কারো নাম ঘোষণা করবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। আগে থেকেই তারা বলেছিল, এই ট্রায়ালে অংশ নেওয়াদের ডাটা তৈরি করে রাখবে। তা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে কাউকে ডাকা যায় কিনা। ফল নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেলো।
‘বাফুফে নেক্সট গ্লোবাল স্টার’-এই নামে ট্রায়ালের আয়োজন করে বাফুফে। তিন দিনের আয়োজনের শুরুর দুই দিনে ট্রায়াল হয় ক্লোজ-ডোরে। শেষ দিনে প্রেস বক্সে বসে গণমাধ্যমকর্মীদের এবং গ্যালারিতে বসে সমর্থকদের ম্যাচ দেখার সুযোগ মেলে।
দুই দিনের ট্রায়াল ও এক ম্যাচ দেখে কারো স্কিল, দক্ষতা, গতি, ফিটনেস, টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যাল বিষয়ের পূর্ণতা, অপূর্ণতা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া কঠিনই। তবে দুই ম্যাচে অনেকের পায়ের কারিকুরি মুগ্ধ করেছে গ্যালারিতে আসা দর্শকদের। তবে কোচদের বিচক্ষণ দৃষ্টিই নির্ধারণ করবে তাদের ভাগ্য।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিতোশোক চাকমার পায়ে বল গেলেই গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের ঢেউ বইতে দেখা গেলো। ব্রুকলিন এফসিতে খেলা সাদা চুলের এই তরুণের শারীরিক গড়ন ভালো, বল নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা, মাঝমাঠ থেকে বক্সে তার গতিময় পদচারণা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। জালের দেখাও পেলেন একবার।
লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তুলতে মুখিয়ে থাকার কথাও তিনি বললেন ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে, ‘ট্রায়াল ভালো হয়েছে। সব কিছুই ভালো লেগেছে, এই মাঠ, গ্যালারিতে আসা সমর্থক। আমি চাই, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। ট্রায়াল ভালো হয়েছে বলে আমি আশাবাদী।’
অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচ নিয়েই সবার আগ্রহ ছিল বেশি। কারণ, এরা যে জাতীয় দলে খেলার বয়স নিয়েই বুকে স্বপ্ন ধারণ করে এসেছেন। তাদের খেলা গোছালোও ছিল বেশ। পাস, আক্রমণ, ট্যাকলগুলো হলো আরও বেশি নিখুঁত ছিলো কয়েকজনের।
১৪ দেশ থেকে এই ফুটবলাররা এসেছেন পকেটের টাকা খরচ করে। অনেক খেলোয়াড় তাদের পরিবারের একাধিক সদস্যসহ এসেছেন। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের জেলা থেকে এসেছেন পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। তবে সবার প্রত্যাশা ছিল শেষ দিনেই রেজাল্ট নিয়ে ফিরতে পারবেন।
এতদূর থেকে এসেছেন, তিন দিন ঘাম ঝরিয়েছেন। তারপরও তাদের থাকতে হচ্ছে অনিশ্চিত অপেক্ষায়। সামনে বয়সভিত্তিক দলের খেলা আছে। সেখানে কারো টিকিট মিলবে কিনা, সেই অনিশ্চয়তা জিইয়ে রেখেই বাফুফে শেষ করেছে তাদের নতুন এই আয়োজন।
আরআই/এমএমআর/এএসএম