নারী ফুটবলারদের প্রত্যাশা, দায়িত্বে থাকবেন তাদের ‘স্যার’

প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন না আসায় শনিবার সকালে নারী ফুটবলারদের অনুশীলন করিয়েছেন তার সহকারী মাহবুবুর রহমান লিটু।
আগের দিনই নারী ফুটবলাররা জেনে গিয়েছিলেন তাদের স্যার (ছোটন) দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বাফুফেকে কিছু জানাননি, দু-একদিনের মধ্যে জানাবেন বলেছেন গণমাধ্যমকে।
আগের দিন ফরোয়ার্ড স্বপ্নার অবসর ঘোষণা, ডিফেন্ডার আঁখির বাড়ি চলে যাওয়া নিয়ে বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে থাকা মেয়েদের মধ্যে ছিল কানাঘুষা। তবে তাদের বেশি আহত করেছে প্রধান কোচের হঠাৎ দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা।
একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবার বিশ্বাস তাদের স্যার দায়িত্বে থাকবেন। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা কেটে যাবে বলেও আশা তাদের।
বিকেলে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সাবিনাদের আশ্বস্ত করেছেন-কোনো সমস্যা হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
প্রধান কোচ দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেবেন, সেটা আগে থেকে টের পাননি বাফুফে ক্যাম্পের মেয়েরা। যে কারণে, খবর শুনে তারা বিস্মিতই হয়েছেন। এক খেলোয়াড় জানিয়েছেন, ক্যাম্পে যারা ছোট তারা বেশি ভেঙে পড়েছেন। তবে সিনিয়ররা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। দেশ-বিদেশে ঘুরে তারা আগের চেয়ে অনেক পরিপক্ক। ফুটবলে কেউ আসবেন-কেউ যাবেন এটাই নিয়ম। পেশাদার ফুটবলে এটা অবাক করার মতো কোনো বিষয়ও নয়।
গোলাম রব্বানী ছোটনের বিদায়ের ঘোষণা জেনে তাদের মন খারাপ হলেও বাস্তবতাও বোঝার চেষ্টা করছেন তারা। একই সঙ্গে তারা নিজেদের যে দায়িত্ব সেটা পালন করে যেতে চান। কারণ, সিনিয়র-জুনিয়র দুই দলেরই খেলা আছে সামনে।
আগামী জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলের জন্য দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। মঙ্গোলিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটি খেলবেন সাবিনারা।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘জুলাইয়ের উইন্ডোতে মঙ্গোলিয়া গিয়ে আমার দুটি ম্যাচ খেলবো। তবে ম্যাচের তারিখ দুটো এখনো ঠিক হয়নি। এশিয়ান গেমসের আগে এই দুটি ম্যাচে মেয়েদের প্রস্তুতির জন্য কাজে দেবে।’
আরআই/এমএমআর/জেআইএম