বর্ষায় এসি চালানোর সময় যেসব ভুল করবেন না

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। স্বস্তির বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও রোদের তেজে আবারও আগের মতোই অবস্থা। এসময় এসি ব্যবহার করছেন কমবেশি সবাই। দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যেও ভ্যাপসা গরমে এসি চালিয়ে রাখছেন।
কিন্তু বর্ষায় এসি চালানোর সময় বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এতে একদিকে যেমন নিরাপদ থাকা যায় তেমন বিদ্যুৎ খরচও কমানো যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্ষায় এসি চালানোর সময় যেসব ভুউল এড়িয়ে চলবেন-
এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা জরুরি
বর্ষার সময় এসির ভেতরের আর্দ্রতা ফিল্টার এবং ডাক্টের মধ্যে জমা হতে থাকে। যদি তা পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেখানে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর এই কারণে এসি থেকে দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার করে এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত।
স্টেবিলাইজার ব্যবহার করুন
বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং ভোল্টেজের ওঠা-নামা খুবই সাধারণ বিষয়। যদি এসির সঙ্গে ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার বা সার্জ প্রোটেক্টর না ইনস্টল করা থাকে, তাহলে হঠাৎ ভোল্টেজ আপ-ডাউনের কারণে এসির ভেতরের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এমন পরিস্থিতিতে এসি নিরাপদ রাখার জন্য স্টেবিলাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক।
এসির বাইরের ইউনিটে মরিচা রোধ করা
স্প্লিট এসিতে একটি আউটডোর ইউনিট থাকে। আর বাইরের দিকের ইউনিটটি সাধারণভাবে বাইরে বা খোলা জায়গায় ইনস্টল করা থাকে। যার জেরে বৃষ্টির পানি পড়ে বাইরের ইউনিটটিতে মরিচা পড়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এসির আউটডোর ইউনিটের অংশগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এমন অবস্থায় এসির বাইরের ইউনিটটি বাড়ির বারান্দা বা ব্যালকনিতে ইনস্টল করা উচিত।
এসির সঠিক তাপমাত্রা সেট করা
বর্ষার দিনে এসি চালালে এর তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে এবং সেই সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালু রাখা উচিত। এতে ঘরের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং আরামদায়ক ঠান্ডার অনুভূতি মিলবে।
এসি বন্ধ রাখুন
বাইরে প্রবল বৃষ্টি হলে এসি বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ সেই সময় এসি চলতে থাকলে, এসির ভেতরে পানি ঢুকে এসি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টি হলে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা এসিতে খারাপ প্রভাব ফেলবে।বর্তমান সময়ে বৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন বাজ পড়ে। এই সময়গুলোতে এসি বন্ধ করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কেএসকে/জিকেএস