লালচে বৃষ্টি ও যমজ সন্তানের রহস্য লুকিয়ে যে গ্রামে

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

বিশ্বে এমন অনেক কিছু আছে যার ব্যাখ্যা মানুষের অজানা। বিশ্বজুড়ে এমন রহস্যময় স্থান অনেক আছে। যেগুলোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানও হার মেনেছে।

সেসব স্থানের মধ্যে আছে- চৌম্বক পর্বত, কঙ্কালের হ্রদ, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলসহ আরও অনেক রহস্য স্থান। এমনই আরও এক স্থান হলো ভারতের কেরল।

সেখানকার আকাশ থেকে পড়ে লাল রঙের বৃষ্টি! এমনকি প্রায় সব ঘরেই জন্মায় যমজ সন্তান। যার উত্তর নেই কারও কাছে।

​যমজ গ্রামের রহস্য

কেরলের মালাপ্পুরম অদ্ভুত এক গ্রাম। যেখানে স্বাভাবিক জন্মহার হলেও তার অনেকটাই রহস্যজনক। এই গ্রামে যমজ সন্তানের জন্মহার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে অনেক বেশি।

গ্রামটিতে প্রবেশ করলেই বুঝতে পারবেন সেখানে এমন কিছু আছে যা আপনাকে অবাক করে দেবে। মনে করুন, গ্রামের প্রবেশ পথে দেখলেন একটি কিশোর আপনাকে রাস্তা বলে দিল।
গ্রামের ভেতরে ঢুকতেই দেখলেন ওই কিশোরই আপনাকে আপ্যায়ন করে নিয়ে যাচ্ছে। অবাক হওয়ারই কথা। প্রথমেই বিষয়টি ভুতূড়ে মনে হলেও সেখানকার বাস্তবতা এমনই। কারণ এই গ্রামের ছেলে-মেয়েরাই যমজ।

আর এটাই হলো কেরলে মালাপ্পুরমের রহস্য। এই রহস্য আজও ভেদ করা সম্ভব হয়নি। আর এই রহস্যই গ্রামের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে।

বর্তমানে গ্রামে অন্ততপক্ষে ২০০ জোড়ারও বেশি যমজ শিশু আছে। এমনকি ওই গ্রামে দুই জোড়া তিন ভাইবোনও আছে। দেখা গেছে, এ গ্রামের মেয়েদের যদি বাইরের কোথায় বিয়ে হয়, তবুও তাদের যমজ বা একসঙ্গে তিনটি সন্তান প্রসবের ইতিহাস আছে।

অনেকে বলেন, গ্রামের পানিতে এক ধরনের প্রাকৃতিক রাসায়নিক থাকায় তার প্রতিক্রিয়ার ফলে যমজ সন্তান হয়ে থাকে। যদিও এ বিষয়টিকে মেনে নিতে রাজি নন অনেকেই।

​কেরলে আছে রক্তাঞ্চলও!

কেরলের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অংশে আছে এক বিশাল ঘন অরণ্য। সেখানকার খাবার ভুবনভোলানো। সেখানে আরও আছে রক্তাঞ্চল।

কেরলের ইদ্দুকি জেলার রক্তাঞ্চলের রহস্য প্রথম উদঘাটন হয় ২০০১ সালের ২৫ জুলাই। তখন এ অঞ্চলে ভয়ানক বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির রং ছিল লাল।

প্রায় দুই মাস ধরে বৃষ্টি হওয়ার পর দেখা যায়, পানির রঙের কারণে এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, হ্রদ, গাছপালা লালে লাল হয়ে ওঠে। ওই বৃষ্টির পানিকে রক্ত বলে ভুল করেন অনেকেই।

তখন পানি সংগ্রহ করে গবেষণাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। গবেষকদের দাবি, ওই বৃষ্টির পানিতে একাধিক রাসায়নিক মিশ্রিত ছিল।

ভারি ধাতব পদার্থের পাশাপাশি ছিল ম্যাগনেসিয়াম, তামা, টাইটানিয়াম, ক্রোমিয়াম, নিকেল ইত্যাদি। এসব উপাদানের বিক্রিয়ার ফলেই বৃষ্টির পানি লাল হয়ে ওঠে। এ কারণেই পরবর্তীতে লোক মুখে স্থানটি রক্তাঞ্চলে বলে পরিচিত হয়ে ওঠে।

সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গেল

​জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।