লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস সম্ভব


প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৬

শুধুমাত্র লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে মানুষের শতকরা ৬৮ ভাগ মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। নিত্য জীবনযাপনে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা পর্যাপ্ত ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ধূমপান না করলেই জীবন দীর্ঘস্থায়ী হবে। শিশুকাল থেকে এ অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে যেকোন সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
 
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবর ভিআইপি মিলনায়তনে আসন্ন বিশ্ব কিডনি দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা  কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) আয়োজিত ‘শিশুদের কিডনি রোগ : শুরুতেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ও ক্যাম্পসের সভাপতি কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এ গোল টেবিল বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ফিরোজ খান, পেডিয়েট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি  অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনিউডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হুদা লেনিন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজি আশরাফ হোসেন লিপু, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুর রহমান, প্রেসিডেনসি ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুব আলী, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
 
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, কিডনি রোগের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মানুষকে সচেতন করে ও কিডনি বিকল প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা করা ও সুস্থ জীবন ধারায় সবাই অভ্যস্ত করার বার্তা প্রচারই বিশ্ব কিডনি দিবসের মূল উদ্দেশ্য ।

তিনি জানান, দেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের চিকিৎসা ব্যয়বহুল বিধায় শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগীর অকাল মৃত্যু হয়। পক্ষান্তরে একটু সচেতন হলে শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ  কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব । এজন্য প্রয়োজন কিডনি রোগের উপস্থিতির কারণ দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা নেয়া। শিশুকাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত লাইফ স্টাইল একজন মানুষকে সুস্থজীবন দান করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এমইউ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।