চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় বহিষ্কৃত ৯ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।

এসময় শিক্ষার্থীরাদের হাতে ‘অন্যায় বহিষ্কার, মানি না মানব না’, ‘জুলাইয়ের হাওয়া এখনো বইছে’, ‘শিক্ষকের গালি প্রশাসনের হাততালি’, ‘দায়িত্বশীল প্রশাসন চেয়েছিলাম, প্রতিশোধ পরায়ণ না’ ইত্যাদি লেখা-সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

স্টুডেন্স অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র জগলুল আহমেদ বলেন, ‘প্রক্টরের ফেসবুকের বিতর্কিত পোস্টের কারণে আজ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লজ্জিত। আপনার (প্রক্টর) কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত গেছে। আপনি ক্ষমা চান, না হয় পদত্যাগ করেন। ছাত্ররাই কিন্তু আপনাদের সহকর্মীদের পতন ঘটিয়েছে, নিজের পতন ডেকে আনবেন না। ছাত্রীদের বহিষ্কার অবিলম্বে বাতিল করুন।‘

ইংরেজি বিভাগের নওশীন তাবাসসুম বলেন, প্রশাসনের কাছে তিনটি প্রশ্ন। প্রথমত, ৫ আগস্টের পরে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নৌকা কিভাবে এখনো রয়ে গেছে? কেন প্রশাসন নিজ উদ্যোগে সেটি ভাঙেনি? দ্বিতীয়ত, ছাত্ররা যে ভাংচুর করবে সেটা হুট করে প্ল্যান করেনি। শহীদ মিনার থেকেই তাদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো, তাহলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিল না? কেন তাদেরকে থামানো চেষ্টা করেনি। তৃতীয়ত, যখন শেখ হাসিনা হলের সামনেই ছাত্ররা ভাংচুর করছিল, তখনই কেন প্রক্টর তাদেরকে থামায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের নৌকা প্রতীক ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙাকে কেন্দ্র করে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্চিত ও গণমাধ্যম কর্মীদের হেনস্তার কারণে এক ছাত্রীকে স্থায়ী ও ৯ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আহমেদ জুনাইদ/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।