চবি উপ-উপাচার্য
হৃদয় তরুয়া নিজের জন্য নয়, ছাত্রসমাজের কথা ভেবে লড়েছেন
জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শহীদ হৃদয় তরুয়া শুধু নিজের জন্য নয়, সমগ্র ছাত্রসমাজের কথা ভেবেই লড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে পটুয়াখালী স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (পিএসএ) উদ্যোগে শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্যে উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘হৃদয় ছিল আমাদের চেতনার প্রতিচ্ছবি। আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় ভিডিওতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তার আকুতি আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করে। শহীদ হৃদয় তরুয়ার ভিডিওটি দেখার পর বুঝেছি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হৃদয় শুধু নিজের জন্য নয়, সমগ্র ছাত্রসমাজের কথা ভেবেই লড়েছে।’
তিনি হৃদয় তরুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু এবং পার্কভিউ হাসপাতালের পরিচালক জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যিনি হৃদয়ের চিকিৎসায় সহায়তা করেছেন। এছাড়া জুলাই বিপ্লবের সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান উপ-উপাচার্য।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা চাইলেও শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কিছু করতে পারি না। হৃদয় তরুয়া হলে ডাল দিয়ে ভাত খেত—এই বাস্তবতা আমাকে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছে। যদি কেউ জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে দাঁড়ায়, এমনকি সরকারও যদি বাধা দেয়; তাহলে আমরা আরেকটি বিপ্লবের ডাক দেবো। আমি নিজে সেই বিপ্লব ধারণ করবো, প্রয়োজনে আবার বিপ্লব হবে।’
স্মরণসভায় শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার বোন আবেগঘন কণ্ঠে তার ভাইয়ের জীবন ও মৃত্যুদিনের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘হৃদয়ের আফসোস ছিল। আমাদের বাসার অবস্থা ভালো না বলে সে কখনো তার বন্ধুদের বাসায় নিয়ে যেতে পারতো না। আমি বলেছিলাম, তোমার আন্দোলনে যাওয়ার দরকার নেই, তুমি সাবধানে থেকো।’
তিনি হৃদয়ের মানবিকতার নানা গল্প শোনান এবং কান্নাভেজা কণ্ঠে হৃদয়ের পরিবারের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।
সোহেল রানা/এসআর/এমএস