রাকসু নিয়ে উত্তেজনা

রাবিতে নির্বাচন কমিশনের দুপাশে শিবির-ছাত্রদলের অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫
রাকসু নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে দুই পক্ষের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রদলের অবস্থানের কারণে মনোনয়নপত্র তুলতে পারেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় রাকসু অফিসে তালা মেরে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর রাকসু অফিসের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রদলকে সরিয়ে মনোনয়ন তুলতে রাকসু নির্বাচন কমিশনের অফিসে প্রবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাকসু নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে একপাশে অবস্থান করছেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে অবস্থান করছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই শান্ত দেখা গেছে।

রাবিতে নির্বাচন কমিশনের দুপাশে শিবির-ছাত্রদলের অবস্থান

এদিকে আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই একটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী রাকসু কার্যালয়ে তালা মেরে রাকসুর পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। রাকসু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগঠন। এখানে রাজনৈতিক দলের কারণে রাকসু নির্বাচন পণ্ড হলে আমরা তা মেনে নেবো না।

অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‌‘গণতান্ত্রিক রাকসু নির্বাচনকে বাতিল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘৃণ্য পথে হাঁটছেন। আমরা রাকসু নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রাকসু নির্বাচন চাই।’

রাবিতে নির্বাচন কমিশনের দুপাশে শিবির-ছাত্রদলের অবস্থান

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আজ সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে মনোনয়ন তুলবো। কিন্তু ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদলের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছি। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসুর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। নবীন শিক্ষার্থীরাও রাকসু ফি দিয়ে ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছেন। আমাদের আরও চারটি দাবি রয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান নেবো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে শঙ্কা এখনো রয়েছে। আমরা সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। কীভাবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।