সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
ব্যানার টানানো-ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে (এসএসএমসি) ব্যানার টানানো ও পরে তা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ তিনজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৫ আগস্টের পর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরও সম্প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার টানানো হলে শিক্ষার্থীরা নামিয়ে ফেলেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন একসঙ্গে ব্যানার অপসারণে অংশ নিয়েছিলেন, অথচ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এসএসএমসির ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের ভূমিকা না দেখে নিজেরাই ব্যানার সরিয়েছি। এ জন্য যদি আমাদের অপরাধী বানানো হয়, তাহলে ৫ আগস্টের আন্দোলনও তো অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।’
এদিকে অভিযুক্তদের একজন মুসনাদ ইসলাম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি ব্যানার ছেঁড়ার সঙ্গে জড়িত নন। শুধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মুসনাদ ইসলামের দাবি, পোশাক বা ধর্মীয় চর্চার কারণে তাকে ‘ভুলভাবে শিবির সংশ্লিষ্ট’ ভাবা হচ্ছে, যা ভিত্তিহীন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যদি প্রমাণ করতে পারে যে আমি ব্যানার ছেঁড়েছি, তবে কলেজ ছাড়তে রাজি আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহীন বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়। উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনও সরাসরি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ যে তিনজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তাদের পক্ষ নিয়ে সম্মিলিতভাবে উপাধ্যক্ষের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন তারা। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, শিক্ষকরা যদি অভিভাবকের মতো দায়িত্ব না নেন, তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা (শিক্ষার্থী) নিজেরাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বেন।
এসইউজে/এমএমকে/এএসএম