ঢাবি প্রক্টরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আরিফ ইশতিয়াক রাহুল/ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগের ৪০৩ জন নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা।

ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম আরিফ ইশতিয়াক রাহুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনালগ্নে ১৫ জুলাই ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আরিফ ইশতিয়াক রাহুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লেখেন, ‘মি. সাইফুদ্দীন, কারণ দর্শানো তো দূরের কথা, আপনার মতো অসভ্যের সাথে বসে চা খেতেও রাজি হবো না। শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রেখে নিজেকে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেব, তবু আপনার কাছে মাথা নতো করবো না।’

তিনি আরও লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম নিজের যোগ্যতায়, আপনার দয়ায় নয়। আজ যদি নিজের আদর্শে অটল থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয় তাহলে হাসতে হাসতে ছাড়বো। এতটুকুও আফসোস থাকবে না। বয়সে বেড়েছেন বটে, কিন্তু ছাত্রলীগকে এখনো চেনেননি। ছাত্রলীগ কারও দয়ায় চলে না।

পালানোর রাস্তা পাবেন না হুমকি দিয়ে ইশতিয়াক রাহুল লেখেন, ‘জুলাইয়ে আমি কি কি সহিংসতা করেছি তার জবাব আপনার কাছে নেব। হয়তো আজ নয়, কিন্তু কোনো একদিন। কলমের জায়গায় কলম থাকবে, চেয়ারের জায়গায় চেয়ারও, কিন্তু আপনার জায়গায় আপনি থাকবেন না। আমি বেঁচে থাকি বা না থাকি, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক ইঞ্চি মাটিতেও আপনার ঠাঁই হবে না। পালানোর রাস্তা পাবেন না।’

ফেসবুক পোস্টে ইশতিয়াক আরও লেখেন, ‘আর যে ৪০৩ জনের তালিকা প্রকাশ করেছেন সে ৪০৩ জনকে আপনি চেনেন না। ক্ষমতার বলে আপনি দিনকে রাত বানাতে পারবেন, কিন্তু ৪০৩ জনের একজনকেও আপনার অনুগামী করতে পারবেন না। সাময়িক বহিষ্কার নয়, আপনি আমাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেন। আপনার বহিষ্কারে আমার কিছুই যায় আসে না। যেদিন স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন আমি আমার ক্যাম্পাসে ফিরবোই। কথাটা মাথায় রাখবেন।’

এফএআর/এমএমকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।