কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট শুরুতে দেরি
![কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট শুরুতে দেরি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019February/hall-20190311090611.jpg)
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর আজ (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘দেশের মিনি পার্লামেন্ট’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন।
সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ভোট শুরু হয়নি। শিক্ষার্থী ভোটারদের দাবি খালি ব্যালট বাক্স দেখানো না হলে ভোট শুরু হবে না।
এই হলে ভোট গ্রহণ শুরু না হওয়ার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি এসেছি। ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। ছাত্রীদের কিছু দাবি দাওয়া আছে। সেগুলো নিয়ে কথা বলছি। ভোট গ্রহণ শুরু হবে।
কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ শুরু না হলেও অন্য সব হলে পরিস্থিতি ভালো। সকালে প্রার্থীদের বাক্স খুলে দেখানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অনিয়মের চিত্র নেই।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সামনে ভোটার শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন দেখেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জসীম উদ্দীন।
ভোটগ্রহণ করা হবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি ও হল সংসদের ১৩টিসহ মোট ৩৮টি পদের জন্য ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ২২৯ জন। আর প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি পদের জন্য ১৮টি হলে ৫০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাত বছরে তিনবার তফসিল ঘোষণা করা হয়েও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। ১৯৯৮ সালে ডাকসুর কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই সময় পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এমএইচ/এনএফ/এমকেএইচ