চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ১২ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিবাদে লিপ্ত একটি গ্রুপ নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্য গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

নাছির অনুসারী গ্রুপের নাম সিক্সটি নাইন, যার নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। নওফেল অনুসারী গ্রুপটির নাম সিএফসি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হল রুবেল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলার ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইনের কর্মী মির্জা প্রধান সফলকে মারধর করেন সিএফসির কর্মীরা। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিলানী হোটেলে খাবার খেতে গেলে সিএফসি গ্রুপের কর্মী রাসেল শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন সিক্সটি নাইনের কয়েকজন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে।

সংঘর্ষে আহত হন সিএফসির ২০১৪-১৫ সেশনের ইখলাস, ২০১৫-১৬ সেশনের আরিফুল ইসলাম এবং রাসেল শেখ; ২০১৮-১৯ সেশনের সামিউল হক দীপন, ২০১৯-২০ সেশনের ইমন ও আজহার; ২০১৭-১৮ সেশনের আরিফ তানভীর, আজাদ ও সাগর এবং সিক্সটি নাইনের ২০১৮-১৯ সেশনের জুনায়েদ, ২০১৯-২০ সেশনের রাকাত ও মির্জা প্রধান সফল।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব জানান, প্রায় ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। অধিকাংশের মাথায় ইট পড়েছে। পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘একটা ঝামেলা হয়েছে শুনলাম। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিএফসি গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ‘বিনা কারণে তারা আমাদের এক কর্মীর ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঠুনকো বিষয়ে যারা সংঘর্ষে জড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।