পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা

২২ দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, মূল ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অবস্থান। ইনস্টিটিউটে নেই বাস, নেই কোনো হল। ক্যাম্পাসে নেই ক্যান্টিন। বিশুদ্ধ পানির জন্য সব সময় চলে হাহাকার। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতনকে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এর আগে বুধবার থেকে ২২ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা সাক্ষাৎ করেও সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মেহেদী আলম সজিব জানান, পঞ্চম দিনের মতো আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা প্রশাসনকে বলেছি হয় ২২ দফা বাস্তবায়ন করুন অন্যথায় আমাদের মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যান। এ ২২ দফা আমাদের অধিকার। অধিকার আদায়ে আমাদের লড়াই চলবে।
নদী রাণী সিংহ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, চবি থেকে আলাদা হওয়ার ১২ বছর পরও এখানে মেয়েদের কোনো আবাসিক হল নেই। প্রতি মাসে বাসা ভাড়ার খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। দ্রুত মেয়েদের হলের ব্যবস্থা হোক।
এ ব্যাপারে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি। তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। উপাচার্য তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা দেখছি না।
গত ২ নভেম্বর ক্লাস চলাকালীন সময়ে সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ৩ নভেম্বরও ক্লাসে বসেনি তারা। আন্দোলন থেকে দেওয়া ২২ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হলে ক্লাসে ফিরবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা।
জেএস/এমএস