জাবির মুক্তমঞ্চ কনসার্টে বহিরাগতদের মারধর-ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ০৭ মার্চ ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কনসার্ট চলাকালে অর্ধশতাধিক বহিরাগতকে মারধর, ছিনতাই এবং বেশ কয়েকজনকে অর্ধনগ্ন করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মার্চ) রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ এবং সপ্তম ছায়ামঞ্চে অবস্থান করা বহিরাগতদের শনাক্ত করে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে হয়।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিসান, চারুকলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের রিফাত, ইতিহাস বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সিদ্ধার্থসহ কয়েকজনের একটি দল বহিরাগতদের মারধর করে। এ সময় বহিরাগতদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

অর্থনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলিফ বলেন, ‘আমি আর আমার এলাকার তিন বন্ধু কনসার্ট দেখতে যাই। তখন বহিরাগতদের মারধর শুরু করলে আমার বন্ধুরা ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই। ১৫-২০ মিনিট পর গিয়ে দেখি আমাদের বাইক দুটি নেই। মাঝমাঠে এসে বাইকগুলো দেখতে পেলেও বঙ্গবন্ধু হলের কয়েকজন সিনিয়র সেগুলো নিয়ে যায়। এরপর পরিচিত এক ভাইয়ের সহায়তায় আমার বন্ধুরা বাইক ফিরে পায়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, মার্কেটিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের মুন্নাকে কনসার্ট দেখতে আসা বহিরাগতদের পরিচয় জিজ্ঞেস করতে দেখা গেছে। বহিরাগতকে পেলেই ইচ্ছামতো পিটিয়ে বাইরে বের করে দেন তারা। পরে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তারা প্রাইভেটকারের যাত্রীদের মারধর করে তাদের জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি।’

গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে আসা রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের পেজে অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে পাঁচ বন্ধু জাহাঙ্গীরনগরে চলে আসি। কনসার্ট চলাকালে কিছু শিক্ষার্থী পেছন থেকে আমাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করে। বহিরাগত হওয়ায় তারা আমাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।’

কনসার্টে আসা ধামরাই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাওসার দাবি করেন, মারধরের পর তার সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মাকের্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমি মারধর করেছি। কিন্তু আমি কারও মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেইনি।’

আরেক অভিযুক্ত রিসান, মুন্না এবং সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’ তবে জাগো নিউজের কাছে আসা অডিওতে সিদ্ধার্থকে নিজেই তার পরিচয় দিতে শোনা যায়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের মোবাইল নম্বরে বার বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মাহবুব সরদার/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।