জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে তালা দিলো ছাত্রলীগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মীরা। এ সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হন।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা অফিস গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রহলের নেতাকর্মীরা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলবেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনাম, মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রীতম আরিফ, শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাজ্জাদ হোসাইন, শহীদ সালাম-বরকত হলের রাতুল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের রাফির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অফিসে অবস্থান নেন।
ছাত্রলীগ নেতা এনাম বলেন, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি একজন ভিন্নমতাদর্শী এবং স্বাধীনতাবিরোধী দলের লোক। বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বীকার করে না তারা কীভাবে এ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে? ওনাকে নিয়োগ দেওয়ার পরদিনই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপারটি দেখবেন বলে উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। দুমাস পার হরেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। আমাদের দাবি স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান না পায়।’
ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিসংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসবেন এটা আদর্শগত জায়গা থেকে আমরা মানতে পারি না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ব্যাপারে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চলবে।’
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারা এসে আমাকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে অফিস ত্যাগ করতে বলেন। কিন্তু উপাচার্যের আদেশ ছাড়া আমি তো অফিস ছাড়তে পারি না।’
বিএনপিসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা সঠিক নয়। এ নিয়ে আমি একটা বিবৃতিও দিয়েছি। এর আগে আমি তাদের আনিত অভিযোগ প্রমাণের দাবি জানিয়েছি। তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো নূরুল আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিক কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মাহবুব সরদার/এসজে/এমএস