ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
‘আবাসিকতার কাহিনি বাদ দে, আমরা যা বলবো হলে তাই হবে’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের এক বৈধ আবাসিক ছাত্রকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান এ অভিযোগ করেন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগে মাহাদী উল্লেখ করেন, তিনি লালন শাহ হলের ৪২৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তরুণ (বাংলা বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), ফাহিম ফয়সাল (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) ও রাজু (বাংলা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিদ্দিকের মাধ্যমে তাকে লালন শাহ হলের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে গেলে ফাহিম তাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি মাহাদী কী না। এরপর তিনি কোন কক্ষে থাকেন তা জানতে চান ফাহিম। তখন তিনি ৪২৮ নম্বর কক্ষের কথা বলেন। এর আগে মাহাদী কোথায় থাকতেন সে বিষয়ে জানতে চান ফাহিম। তখন তিনি ৩০৮ নম্বর কক্ষে অতিথি হিসেবে থাকার কথা জানান। একইসঙ্গে তিনি ৪২৮ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ পেয়েছেন এবং সেখানেই থাকবেন বলে তাদের জানান। একথা শুনে রাজু তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুই কে? তোকে আগে কখনো হলে দেখিনি তো। কে তোরে হলে তুলেছে? আর ওইসব আবাসিকতার কাহিনি বাদ দে। আমরা যা বলবো হলে তাই হবে।’
তখন তরুণ মাহাদীকে বলেন, ‘আমারে চিনিস তুই, আমি কে? এখনো ভালোই ভালোই বলছি, ৪২৮ থেকে সবকিছু নিয়ে কোথায় যাবি যা। ৩০৮ এ থাকবি নাকি কোথায় থাকবি আমরা জানি না। এ কথা বলে তারা বই, খাতা, তোশক ও বালিশ কক্ষের বাইরে ফেলে দেন এবং বলেন এখানে তোর সবকিছু আছে নিয়ে চলে যাস।’
তবে অভিযুক্ত ফাহিম ফয়সাল বলেন, কাউকে সিট থেকে নামানো হয়নি। আমরা কেবল দুজনের মধ্যে একটা সমঝোতা করে থাকতে বলেছি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। ছাত্রলীগ কখনো কাউকে বৈধ সিট থেকে বের করে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না।
লালন শাহ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ওবাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
রুমি নোমান/এমআরআর/জেআইএম