পিকনিকের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ অর্ধশত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীতে পিকনিকের খাবার খেয়ে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ অসুস্থ হয়েছেন।

সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ জন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন।

জানা গেছে, জেলার চারঘাট উপজেলা সদরের থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত রোববার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে পিকনিকে যান। এর মধ্যে ৪৭ জন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাকিরা অভিভাবক এবং তাদের আত্মীয়।

পিকনিকের জন্য বিদ্যালয়েই খাবার রান্না পর তা প্যাকেট করে আনা হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে সে খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।

সোমবার দুপুর থেকে আরও বেশি অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া শুরু হয়। এভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে যাদের শারিরিক অবস্থা কিছুটা ভালো তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রূপালী খাতুন বলেন, ‘পিকনিকের খাবার খাওয়ার পর রাত থেকেই দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে অবস্থা আরও বেশি খারাপ। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন চলছে, তবে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।’

থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, ‘খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ফুড পয়জনিং হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমার মেয়েও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা বলেন, ‘ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন। শিশু বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। রোগীদের অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

সাখাওয়াত হোসেন/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।