হাসপাতালে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু, দুই মাস পর পাঠানো হলো মরদেহ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ভারতীয় নাগরিক বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মৃতের ছোট ভাই বদ্রী রায়ের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
৪৪ বছর বয়সী বিজলী কুমার রায়ের বাড়ি ভারতের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার চাক জামাল গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত টুনা রায়।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী কুমার রায়কে আটক করে। পরে তাকে শরীয়তপুর কারাগার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি করা হয় তাকে।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে পড়ে ছিল মরদেহ। ‘বাঙালির বজরঙ্গি ভাইজান’ খ্যাত শামসুল হুদা খোঁজ খবর নিয়ে ভারতে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবারের কাছে বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ পাঠানোর চেষ্টা করেন।
শামসুল হুদা মূলত সীমান্তে হারিয়ে যাওয়া কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেন।
শামসুল হুদা বলেন, আমি নিজ ইচ্ছা থেকেই সীমান্তে নিখোঁজ কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ভারতীয় নাগরিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হলো।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ৫৯টি সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করেছি। এর মধ্যে ৪৩টি সমস্যার সমাধান হয়েছে। আর ভারতে থাকা দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, শুক্রবার বিকেলে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মৃতের ছোট ভাই বদ্রী রায়ের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোহান মাহমুদ/এফএ/এমএস