রায়পুরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় একজন নিহত


প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ০১ জুন ২০১৬

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল নিলক্ষা গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় লিটন মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়েছেন।  

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ককটেল ও টেটাযুদ্ধে এ আহত-নিহতের ঘটনা ঘটে।
 
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে নিলক্ষা ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের লোকজন এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে টেটা, বল্লম ও রামদাসহ বিভন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থক বীরগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় আব্দুল হকের লোকজন পাল্টা জবাব দিলে দুই পক্ষের মধ্যে টেটাযুদ্ধ শুরু হয়।

পরে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের লোকজন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ২০/২৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেলের আঘাতে পথচারী লিটন মিয়া (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আ. করিম (৫০) ও তানভীর আলমসহ (২০) অন্তত ২০জন। টেটাবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

খবর পেয়ে নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

সদর থানা পুলিশের সার্কেল খালেদ বিন মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাজ করছে। তবে উশৃঙ্খল লোকজন একের পর এক ককটেল ও টেটা ছুড়ছে।পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

সঞ্জিত সাহা/এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।