রাজশাহী
বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবজিতে
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী রাজশাহীর সবজির বাজারে এ সপ্তাহে কমতে শুরু করেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম কমেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে রাজশাহীর সাহেব বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে করলা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, এছাড়াও ৫০ টাকার পটোল ৪০-৪৫ টাকায়, ৮০ টাকার কাঁকরোল ৭০ টাকা, ৬০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা, শসা কেজি প্রতি ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিংগা, পেঁপে ও কচুর দাম ৩০-৪০ টাকা, গাজর ও টমেটোর দাম পৌঁছেছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও রয়েছে স্থিতিশীলতা। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব মাছ। চিংড়ি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। এক কেজি ওজনের রুই ও কাতলা আগে ছিল ২৩০ টাকা। বড় পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকায়। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে মরিচের বাজারে। এক সপ্তাহ মরিচের দাম নেমে এসেছে ১২০-১৫০ টাকায়।
এদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি ও ডিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার কারণে সবজির দাম কমেছে।

সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সব ধরনের সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
আরেক সবজি বিক্রেতা মো. রানা বলেন, এই সময়টা শাকসবজির মৌসুম না হলেও টানা বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক সবজি এখন বাজারে আসছে। তাই পাইকারিতে দাম কমছে।
এদিকে স্থিতিশীল আছে চালের বাজারও। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। মনজুর, রশিদ, সাগরসহ অন্যান্য কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড, হরিণ, মোজাম্মেল কোম্পানির চাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল আগের মতোই ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজারের চাল বিক্রেতা মো. সুইট বলেন, কৃষকের ধান মিল মালিকদের গোডাউনে চলে গেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এজন্য বাড়তি দরে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই সপ্তাহে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়েনি। আগের দামেই এসব চাল বিক্রি হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জেআইএম