রংপুরে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে বিভাগীয় ইজতেমা
রংপুরে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা।
নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ইজতেমা। শেষ হবে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)। ইজতেমা ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা।
ইজতেমা সফল করতে আমাশু কুকরুল এলাকার মাঠজুড়ে শামিয়ানা টাঙানো, পানির লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ, সাইকেল গ্যারেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির তথ্যমতে, এবারের ইজতেমায় রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে সাথিরা অংশ নেবেন। এছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও আসবেন মুসল্লিরা। এরইমধ্যে অনেকেই রংপুরে এসে পৌঁছেছেন।
আয়োজক কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান রাজা জানান, প্রায় ২০০ বিদেশি মেহমান এই ইজতেমায় অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার জেলা ইজতেমার পরিবর্তে বিভাগীয় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে বিভাগের আট জেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেবেন। মাঠের ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ হলেও এবার ১০ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তাবলিগ জামাতের স্থানীয় সংগঠক শামীমুজ্জামান শামীম জানান, ইজতেমা মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি শতাধিক জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের ওজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ওজু করতে পারবেন। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অর্ধশতাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত থাকবে।

ইজতেমার নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাদা পোশাকে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে আয়োজক কমিটি, জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নির্বিঘ্নে ইজতেমার কাজ সম্পন্ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনায় আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে।
জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম