ময়মনসিংহ
ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বন্ধুর বাড়িতে মিললো যুবকের মরদেহ
ময়মনসিংহে পৃথক স্থানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদের একজন জেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও অন্যজন নান্দাইলের। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার (৩০ জুলাই) দুই উপজেলার পৃথক স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বি-কাঁঠালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন (৭) ও নান্দাইলের পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে রিয়াদ মিয়া (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বিকেলে বাড়ির পাশে জঙ্গলে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম ছেলে মোবারককে ছাতা দিয়ে সেখানে পাঠান। ছাতা নিয়ে শিশুটি নুরুলের কাছে গেলে তার হাতে থাকা দা দিয়ে মাথা ও গলায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে সম্প্রতি হানিফ মিয়ার একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি হয়। সেই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদ নামে একজনকে আটক করে। পরে আচারগাঁও বিলপাড়ায় একটি সালিশ বসে। সেখানে রিয়াদ অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করে তার বন্ধু নাদিম মিয়াও জড়িত ছিলেন বলে জানান।
এরপর নাদিমকেও সালিশে উপস্থিত করা হলে তিনিও অটোরিকশা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। নাদিমের মা ময়না বেগম সালিশস্থলে উপস্থিত হয়ে অটোরিকশার টাকা ফেরত দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে মুক্ত করে নিয়ে যান। ওই দিন রাতে রিয়াদ বন্ধু নাদিমের বাড়িতে থেকে যান। সকালে প্রতিবেশীরা নাদিমদের বাড়িতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে রিয়াদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ উবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরপর থেকে রিয়াদের বন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়েছেন।’
কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/এএসএম