২৪ কেজির কোরাল মাছ ৩৬ হাজারে বিক্রি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মাছ বাজারে দেখা মিললো ২৪ কেজি ওজনের কোরাল মাছ। মাছটি সুন্দরবন এলাকা থেকে ক্রয় করে গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী কিনে নেন। মাছটি বিক্রি হয় প্রায় ৩৬ হাজার টাকায়। বাজারে মাছটি নিয়ে এলে হইচই পড়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারের মাছটি নিয়ে এলে এর ওজন হয় ২৩ কেজি ৬৫০ গ্রাম। ১৫২০ টাকা কেজি দরে ৩৫ হাজার ৯৩৮ টাকায় বিক্রি হয় মাছটি।

ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের লেম্বুর বন এলাকায় দুইদিন আগে সকালে আল-আমিন মাঝি ইলিশ ধরতে সমুদ্রে যাচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় ২৩ কেজি ওজনের একটি কোরাল পান। যার দাম হয়েছিল ৩৪ হাজার টাকা।

গাজী ফিশের স্বত্বাধিকারী মো. বশির গাজী জানায়, মূলত এই বড় মাছের চাহিদা কুয়াকাটায় বেশি। তাই আমরা উপকূলীয় এলাকার জেলে ও বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছগুলো সংগ্রহ করি। সুন্দরবন থেকে এই মাছটি সংগ্রহ করেছি, চাহিদা থাকায় আবার বিক্রিও করে দিয়েছি। ঢাকার এক পর্যটকের কাছে ১৫২০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করে দিয়েছি।

উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, কুয়াকাটা (উপরা) এর আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু বলেন, মূলত এই মৌসুম হলো বড় মাছের। তাই ইলিশ, কোরালসহ সামুদ্রিক মাছের একটি সরবরাহ রয়েছে। অনেকসময় রোগাক্রান্ত হওয়া, পেটে ব্যাথা হওয়া, মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রভাব, পলিথিন বা প্লাস্টিক খেলে অনেক সময় ভেসে থাকে। তবে এমন মাছ এখন তুলনামূলক কম আসে, আরও ৫-৭ বছর আগে বেশি পাওয়া যেত।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি নিষেধাজ্ঞার ফসল, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে নেমেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়বে। জেলেরা সঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছেন বিধায় সামনের দিনগুলোতে তাদের জালে ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়বে। শুধু কোরাল নয়, ইলিশসহ সামুদ্রিক অন্যান্য সব ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়বে বলে আমি আশাবাদী।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।