বাগেরহাটে নিহত সাংবাদিক হায়াতের পরিবারের পাশে বিএনপি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫
বাগেরহাটে নিহত সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপ

বাগেরহাটে নিহত সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারটি এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতের
দুই মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের হাড়িখালি এলাকায় নিহত হায়াত উদ্দিনের বাড়িতে আসেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন। এসময় পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা ফকির তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান টুটুল, মেহেবুবুল হক কিশোরসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্তিত ছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হায়াতের পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। আমি শুধু বাহক হিসেবে এখানে এসেছি। এছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হায়াতের দুই মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, হায়াত বিএনপিকর্মী ছাড়াও একজন নির্ভীক ও সৎ সাংবাদিক ছিলেন। সত্য কথা বলা ও লেখার জন্য হায়াতকে হত্যা করা হয়েছে। হায়াত একজন বীর। আমি হায়াতের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এসময় শিগগির হায়াতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।

বাগেরহাটে নিহত সাংবাদিক হায়াতের পরিবারের পাশে বিএনপি

এর আগে গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন একই এলাকার ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ইসরাইল মোল্লা ও বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ওমর আলী মুন্নাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় মোহাম্মদ ওমর ফারুক ওরফে ইমন হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আশিক (২৫) নামের দুজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নাহিদ ফরাজী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।