ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপের মামলায় গ্রেফতার ৪

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৫
গ্রেফতার চারজন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাড়ির গেটে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার চারজনকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গ্রেফতাররা হলেন- নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৪৫), আকুয়া বোর্ডঘর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. আরিফ (৩০), একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে বিপুল (২১) ও আকুয়া ওয়ালেছ গেট এলাকার আ. সালামের ছেলে মো. রাজন (১৯)।

আরও পড়ুন
ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়ির গেটে আগুন-ককটেল বিস্ফোরণ

পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে নগরীর আকুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কিছু ক্লু পেয়েছে। এটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে নিলে আরও তথ্য উদঘাটন করা যাবে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দ্রুতই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে মহানগরীর ঢোলাদিয়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার বাড়ির গেটে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন রাদ বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি বৃহস্পতিবার মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়। চারতলা এই বাড়িতে রাফিয়ার দাদি, মা ও ভাই এবং ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন।

অভিযোগে খন্দকার জুলকারনাইন রাদ উল্লেখ করেন, রাতের খাবার-দাবার খেয়ে তারা বাসায় ঘুমিয়ে যান। রাত ৩টার দিকে বিকট শব্দে বাসার সবার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে বাসার নিচে এসে দেখেন বাসার গেটের একাংশ পুড়ে কালো হয়ে আছে এবং গেটের সামনে কিছু পোড়া ছাই পাওয়া যায়। বাসার গেটের আশপাশে কেরোসিন ও পেট্রোলের গন্ধ পাওয়া যায়। রাদ ও রাদের পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেরোসিন ও পেট্রোলের মত দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন বসতবাড়ি থেকে একটু দূরবর্তী জায়গায় হওয়ায় শুধু গেটের সামনের অংশ পুড়ে যায় এবং আগুন এমনিতেই নিভে যায়।

কামরুজ্জামান মিন্টু/ইএ 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।