ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে থেমে থেমে শুরু হওয়া এই যানজট সন্ধ্যার পর কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণত এ সড়কের যানবাহন তারাব ব্রিজ দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এবং কাঁচপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। কিন্তু তারাব ব্রিজটি সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে তারাব ব্রিজ বন্ধ থাকায় সব যানবাহন এখন কাঁচপুর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল রুট ধরে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এতে যানবাহনের চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে তারাব বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে বরাব পর্যন্ত কিছু কিছু খানাখন্দের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সকাল দশটা থেকেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যা সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে সড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

আউখাব এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে বরপা এসে যানজটে আটকা পড়ি। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর সেখান থেকে বের হতে পেরেছি।

বাস চালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তারাব ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় শিমরাইল দিয়ে কাঁচপুর হয়ে আসতে হচ্ছে। কাচপুর থেকে জ্যামে পড়েছি। দেড় ঘণ্টায় বরপা এসেছি। এই সড়কে যানজট যেন পিছুই ছাড়ছে না।

মহাসড়ক পার্শ্ববর্তী দোকানদার আকতার মিয়া বলেন, সকাল দশটার পর থেকেই থেমে থেমে যানজট দেখছি। এখন দুপুর গড়িয়ে রাত হয়েছে। আর যানজটও বিস্তৃত হয়ে কাচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

শিমরইল ট্র্যাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, তারাব ব্রিজের সংস্কার কাজের জন্য এ পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে তারাব বিশ্বরোড থেকে বরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা খানাখন্দ থাকায় যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে না। এতে যানবাহনের চাপ বেড়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

নাজমুল হুদা/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।