রাজশাহীতে কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
রাজশাহীর বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে প্রতি কেজি সবজিতে গড়ে দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা। এছাড়াও কমছে পেঁয়াজের দাম।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজশাহী শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। দাম কমে এই সপ্তাহে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, লাল আলু ২২-২৫ টাকা, হল্যান্ড আলু ২০-২২ ও নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও গত সপ্তাহের থেকে কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি, রসুন প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। ডিম বিক্রি হচ্ছে সাদা ডিম ৪০ থেকে ৪২ ও লাল ৪২-৪৪ টাকায়।
এদিকে শীত মৌসুমের সব ধরনের সবজির কম দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শিম ৬০-৮০ টাকায়, টমেটো ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ৩৫, কচু ৫০ এবং মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক, লালশাক, ধনে পাতাসহ অন্যান্য পাতাও ১০-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানায়, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণেই কমেছে সবজির দাম।

সাহেব বাজারে সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহের এই সপ্তাহে সবজির দাম বাড়েনি বরং কমেছে। সবধরনের সবজির দাম কমেতে শুরু করছে। মূলত বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কমেতে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে সবজির দাম ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শীতের সবজি সরবরাহ বেড়ে গেলেই দাম আরো কমে যাবে।
সাহেব বাজারের সেলিনা রহমান বলেন, সবজির দাম কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে আলুর দাম আগের চেয়ে বাড়ছে। কিন্তু অন্যান্য চাল বা মাছ দাম কমছে না।
এদিকে রাজশাহীর বাজারে মাছে দাম আগের মতোই আছে। চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায়, পাঙাশ ২৫০ টাকায়, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ৩০০ টাকায়। দেশি পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।
চালের বাজারেও স্থিতিশীলতা রয়েছে। সরু নাজিরশাইল বা সিলেক্ট চালের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, আর প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। সরিষার তেল লিটারে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়, আর প্যাকেটজাত চিনি ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খেসারি ডাল ১৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকা, সোনালি ২৫০-২৮০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এমএন