খুলনার বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম
খুলনার সবজির বাজারে এ সপ্তাহে দাম কমতে শুরু করেছে। মাছ ও মাংসের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় সবজির দাম নাগালে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, রূপসা বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পালংশাক ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা কেজি, লাউ ২০-৪০ টাকা প্রতি পিস, কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা কেজি, শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ দাম কমে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা দরে এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে এবং আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৬০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই আকারভেদে ২২০-২৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা দরে, পাঙাশ ১৬০-১৮০ টাকা, কাতল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি এবং ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে গত সপ্তাহ থেকে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়াতে দাম অনেকটা কমেছে। কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে টমেটো বাজারে কম ওঠায় দাম কিছুটা বেশী। এরকম সরবরাহ অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মাছ ব্যবসায়ী সেলিম গাজী বলেন, শীতের সময়ে মাছের দাম কমই থাকে। আর গোনের সময় মাছ বাজারে বেশী উঠলে দাম এমনিতেই কমে যায়। তবে ঘেরের মাছের একটু দাম বেশী হয় মাছের খাবারের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে। চাষীদের লাভ না হলে তারা তো মাছ চাষ করবে না। তবে এখন মাছের দাম অনেক কম রয়েছে বলে তিনি জানান।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা তামজিদ হক বলেন, গত সপ্তাহের থেকে সবজির দাম কিছুটা কম রয়েছে। তবে টমেটো ও পেঁয়াজের দাম অনেকটা বাড়তি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে সবকিছুর দাম নাগালে থাকবে নইলে হুট করে আবার সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। তবে মাছের দাম তুলনামূলক আরো কিছুটা কমলে ভালো হয়।

অন্য একজন ক্রেতা ইমদাদুল শেখ বলেন, বাজারে এ সপ্তাহে সবজির দাম অনেকটা কমেছে। প্রায় সবজি মানভেদে প্রায় ১৫-২০ টাকা কমেছে। তবে গরুর গোশের দাম কিছুটা কমলে স্বস্তি আসতো মধ্যবিত্তদের মনে। আর পেঁয়াজ ও রসুনের বাজারে সরকারের নজর প্রয়োজন। নইলে দাম কমছেই না।
আরিফুর রহমান/এমএন/জেআইএম