র‌্যাবের বিরুদ্ধে নারীসহ ৩ জনকে নির্যাতনের অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৫

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক পক্ষকে র‌্যাব কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নারীসহ ৩ জনকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে র‌্যাব-৮ এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ওই ওয়ার্ডের শাহ জালাল সড়কে প্রায় ২ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মোকাদ্দমা চলছে। ওই জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে স্থানীয় সাবেক সেনা সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। তার পক্ষে ৩১ মার্চ বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আম্বিয়া বাবু জমি দখল করতে গেলে স্থানীয়দের হাতে মারধর খেয়ে ফিরে আসে।

ওই ঘটনার জের ধরে গত সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৮ কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয় জমির মালিক দাবিদার অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধা, নজরুল ইসলাম, লিটন গাজী ও তাসলিমা বেগমকে। নুরু নামক এক র‌্যাব সদস্য র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল ফরিদুল আলমের বরাত দিয়ে তাদের ডেকে নেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কার্যালয় থেকে প্রথমে অ্যাডভোকেট মান্নানকে গালিগালাজ করে বের করে দেয়া হয়। পরে একটি অন্ধকার কক্ষে নিয়ে নজরুল ইসলাম, লিটন গাজী ও তাসলিমা বেগমকে বেধরক মারধর করে র‌্যাবের ৩ সদস্য।

এসময় বিরোধীয় ওই জমির দখল ছেড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নতুবা নারায়ণগঞ্জের মতো লাশ হয়ে ফিরে যেতে হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।

র‌্যাবের নির্যাতনে আহত লিটন গাজী বর্তমানে বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধার মেয়ে ফাতেমা-তুজ জোহরা মিতু বলেন, তার বাবাকে র‌্যাব কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ ও ৩ জনকে অমানুষিক নির্যাতন করে র‌্যাব সদস্যরা।

তাদের জমি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে দখল দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালেও শাহ জালাল সড়কে র‌্যাবের একটি টিম গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৮ কার্যালয়ের উপ অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, নির্যাতনের অভিযোগ যাচাই বাছাই করে তিনি দেখবেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।