নরসিংদীতে জঙ্গি সন্দেহে আটক দুইজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
নরসিংদীতে জঙ্গি সন্দেহে আটক দুইজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে র্যাব। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সোমবার দুপুরে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন র্যাব-১১ এর ডিএডি আ. রহমান।
আসামিদের মধ্যে নরসিংদীর উত্তর গাবতলীর বাড়ি থেকে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণকারী মো. সালাহ উদ্দীন ও আবু জাফরকে আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাগেরহাট জেলার তরিকুল, রাজিব,বরগুনার নাজমুল, ঢাকার জনি ও আরিফ। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নরসিংদী পৌর শহরের উত্তর গাবতলী এলাকার কুয়েত প্রবাসী মঈনুদ্দীনের বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব। ১৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে পরদিন সকালে একে একে পাঁচজনকে বের করে নিয়ে আসে র্যাব। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে নেয়া হয়।
পরে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা না থাকায় নরসিংদী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র বাসিরুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও নরসিংদী জামিয়া কাসেমিয়া মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র মাসুদুর রহমানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সালাউদ্দিন বলেন, নরসিংদীতে জঙ্গি সন্দেহে আটক দুইজনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আর তিন-চারজনের নামে র্যাব-১১ এর ডিএডি আ. রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামালাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, দায়ের করা মামলায় আবু জাফর ও সালাহ উদ্দীনকে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।
সালাহ উদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি সমাজ বিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর আবু জাফর নরসিংদী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। আবু জাফরের বাড়ি নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামে। সালাহ উদ্দীন নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদী ইউনিয়নের চরদিঘলদী গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের সিনিয়র এএসপি আলেক উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাদের মূল টার্গেট করে বাড়িটি ঘেরাও করেছিলাম, ওইদিন তাদের অনেকে ছিল না। ঘটনার দিন বেশ কয়েকজন নিরপরাধ লোক ঢুকে পড়ে। ফলে আটকের পর তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছি।
সঞ্জিত সাহা/আরএআর/এমএস