জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা এখন সময়ের দাবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ গ্রুপের সহযোগিতায় ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম এর আয়োজনে দেশব্যাপী চলছে ‘জাতিসংঘে বাংলা চাই’ অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হোক বাংলা’ সমর্থনে ই-ভোটিং ক্যাম্পেইন উদ্ধোধন করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম রেজা।

নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরশেদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তফা মিয়া, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মানিক, ক্লাবের সাবেক সভাপতি সরকার আদম আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আওয়াল, মাখন দাশ, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আমিন চৌধুরী ও জাগো নিউজের নরসিংদী প্রতিনিধি সঞ্জিত সাহা। এ সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সুশিল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

Narsingdi-Bengoli-1

প্রধান অথিতির বক্তব্যে ইউএনও সেলিম রেজা বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের ৭ম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের এই দাবি শতবাগ যৌক্তিক। কারণ পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। যা অন্য ভাষাভাষি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে দেশে মাতৃভাষা বাংলার দাবি আদায় হয়েছে। পরে ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসের এক সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। কিন্ত এত বছরেও বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে মর্যাদা পায়নি। তাই বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।

Narsingdi-Bengoli-2

আলোচনা সভা শেষে জাতিসংঘের ৭ম দাপ্তরিক ভাষা বংলার দাবিতে ই-ভোটিং করা হয়। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষার সমর্থনে ভোট প্রদান করেন।

সঞ্জিত সাহা/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।