খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে

কোনো ধরনের পিকেটিং ছাড়াই ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন পাহাড়ি সংগঠনের ডাকে খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে। খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরে ইউপিডিএফের তিন নেতাসহ ৬ জনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এ অবরোধের ডাক দেয়।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধের ফলে খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলোকে পুলিশি পাহারায় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার পরে খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে সীমিত আকারে টমটম ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও আভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সোমবার খাগড়াছড়িতে অর্ধদিবস হাটের দিন হওয়ায় দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হেঁটে বাজারে আসতে দেখা গেছে। আধাবেলা সড়ক অবরোধের ফলে অফিসগামী লোকজনকে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
সড়ক অবরোধ চলাকালে যেকোন ধরনের নাশকতার আশঙ্কায় জেলা শহরের স্বনির্ভর, চেঙ্গী স্কয়ার, বাস টার্মিনাল, চেঙ্গী ব্রিজ ও ফায়ার সার্ভিস এলাকাসহ একাধিক স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
তবে সকাল থেকে অবরোধ শুরু হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি শহরসহ কোথাও কোনো পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহ উদ্দিন জানান, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন নেতাসহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়া শনিবার দুপুরের দিকে বিক্ষোভ মিছিলে হামলায় আরো একজন মারা যান। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/জেআইএম