জনসমাগমে এমপির ত্রাণ বিতরণ
করোনা রোধে সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছ সরকার। সেভাবেই মাঠে কাজ করছে প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু কক্সবাজারে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে জনসমাগমে ত্রাণ বিতরণ করেছেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল।
কয়েকদিন আগে তিনি নিজেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার কথা বলে মাইকিং করে বলেছিলেন চলাচলের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার। নিজের প্রচারণার উল্টো পথে গিয়ে জনসমাগম করে বুধবার (১ এপ্রিল) ১০ কেজি করে চাল সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে সবশ্রেণি পেশার মানুষকে যখন সরকার ঘরে থাকতে বলছে তখন জেলার শীর্ষ জনপ্রতিনিধির এমন কাণ্ড অবাক করছে সবাইকে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, সাহায্য করতে কোনও লোকসমাগম করা যাবে না। ওয়ার্ড পর্যায় গিয়ে জনগণকে সচেতন করে দরকার হলে বাড়ির কাছে পাড়া মহল্লায় গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা দিতে হবে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেন। সেই কনফারেন্সে নিজেও কথা বলেন সংসদ সদস্য কমল। অথচ এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মাথায় দায়িত্বশীল পদে থেকে তার স্বাস্থ্যঝুঁকির এ কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার বিকেলে রামু চৌমুহনী স্টেশন ও খিজারী হাইস্কুল মাঠে সহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে ত্রাণ সহায়তা দেন তিনি। এ সময় সাহায্যপ্রার্থী মানুষগুলো ঠাসাঠাসি করে ত্রাণ নিতে দেখা যায়। শুধু সাহায্য প্রার্থীরাই নয় সংসদ সদস্য কমলের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে নেতা-কর্মীদের।
নিরাপদ দূরত্ব ছাড়াও প্রশাসন গত কিছুদিন থেকে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করছেন। কিন্তু এখানে জড়ো হওয়াদের কারো মুখে মাস্ক ছিল না।
তবে লোকসমাগমে ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে জানতে সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সায়ীদ আলমগীর/এএইচ