ত্রাণ না পেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার দরিদ্র মানুষ। কোনো কাজ না থাকায় অনাহারে দিন কাটছে তাদের।
ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথমে থানার সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফতুল্লার চৌধুরী বাড়িস্থ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। প্রায় এক ঘণ্টা চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে ফতুল্লা ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা ত্রাণের দাবিতে এ বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া হামিদা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আমরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছি। কোনো কাজ করতে পারছি না। আমাদের ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের খোঁজখবর রাখছেন না। তাই ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
স্টেশনের বাসিন্দা রুবিনা আক্তার বলেন, কয়েকদিন আগে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্টেশনের কিছু মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এরপর থেকে আর কোনো খবর নেই। শুনেছি তাদের পরিচিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। সরকারের ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করা ঠিক হয়নি। আমরা গরিব মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, কার কাছে খাদ্য চাইব?।
সারহারা সিটি এলাকার সালেহা বলেন, আমরা ঘরে বসে থেকে খাদ্য পাই না। কিন্তু যারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় ঘুরে তারা ঠিকই ত্রাণ পাচ্ছেন। এসব স্বজনপ্রীতি মানি না।
বিক্ষোভ অংশ নেয়া আব্দুস সালাম বলেন, করোনারভাইরাসের কারণে আমার কাজ বন্ধ। আমি পরিবার নিয়ে খাদ্য সংকটে রয়েছি। কিন্তু স্থানীয় মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যান আমাদের কোনো খোঁজ রাখছেন না। বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নামলাম।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, খাদ্যের অভাবে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। আমরা খবর নিচ্ছি, কোথায় খাদ্যের অভাব রয়েছে। তা খুঁজে বের করে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/এমকেএইচ