৪ জেলার করোনা পরীক্ষা হবে বগুড়ার শজিমেকে
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) অবশেষে চালু করা হলো করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র। পলিমার চেইন রিঅ্যাকনশ (পিসিআর) যন্ত্রটি স্থাপনের পর সোমবার দুপুরে তা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএমএম সালেহ ভূঁইয়া পিসিআর যন্ত্রে করোনার নমুনা পরীক্ষার উদ্বোধন করেন।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শজিমেক অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, প্রথম দিনেই তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পিসিআর যন্ত্রের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এখানে ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বগুড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে যাদের নমুনা পাঠানো হবে তাদেরও পরীক্ষা এখানে করা যাবে।
এর আগে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার জন্য মার্চের শেষ সপ্তাহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) স্থাপন করা হয়। সেখানেই বগুড়ার নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। তবে একাধিক জেলার নমুনা পরীক্ষার কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে রিপোর্ট পেতে কমবেশি ৪৮ ঘণ্টা লেগে যায়। এতে সন্দেহভাজন রোগী এবং তাদের স্বজনদের উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে বগুড়ায় শজিমেকের মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের দাবি উঠতে থাকে। তারপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়।
শজিমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের কাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে আসা দু’জন অ্যাপিকেশন ইঞ্জিনিয়ার পিসিআর যন্ত্রটি পরিচালন পদ্ধতি ল্যাব টেকনিশিয়ানদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন। এছাড়া কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক ও চিকিৎসদেও ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, কলেজের ১১ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ওই তিন বিভাগের ১৭ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
এমএএস/এমএস