ঝুঁকি জেনেও চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ফিরছেন গার্মেন্টস কর্মীরা
লকডাউন উপেক্ষা করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ভিড় করেছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। তারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হতে ফেরিতে উঠছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায় ।
লকডাউনের কারণে মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও চাকরি হারানোর ভয় ও জীবিকার তাগিদে এসব যাত্রীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। তবে ঘাট এলাকার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
অপরদিকে গত ২৬ এপ্রিল দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির দুই কর্মীর করোনা পজিটিভি হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ঘাট এলাকায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তারপর আবার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে সব ধরনের মানুষের যাতায়াত শুরু হয়েছে।
ঢাকাগামী গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ তাদের কাজে যোগদানের জন্য ফোন ও এসএমএস করেছে। সময়মত কাজে যোগদান না করলে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানিয়েছে। এ জন্য করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে জেনেও তারা চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় ফিরছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করার সুযোগে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে পুরো ঘাট এলাকাসহ সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। কিছু মানুষ গার্মেন্টস খোলার সংবাদে নদী পার হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল থেকে রাজবাড়ী জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী- রাজবাড়ীতে এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন এবং দুইজন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আছেন। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির আক্রান্ত দুই কর্মী তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে আছেন।
রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম