‘আমি করোনা আক্রান্ত হলে সন্দ্বীপের সবাই আক্রান্ত’
চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে প্রথমবারের মতো এক যুবকের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ওই যুবক উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার দাবি, তিনি গত চার মাসে একবারও সন্দ্বীপের বাইরে যাননি। এমনকি লকডাউন শুরুর পর যাননি গ্রামের বাইরেও।
শনিবার (০২ মে) সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের তিন নারী-পুরুষকে করোনা রোগী হিসেব শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের একজন সন্দ্বীপের ওই যুবক।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে করোনা আক্রান্ত ওই যুবক মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আমাদের এলাকায় নমুনা সংগ্রহ করতে একটি গাড়ি এসেছিল। জ্বর থাকায় সেখানে নিজের নমুনা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিন দিন পর হাসপাতাল (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয়, রিপোর্ট নেগেটিভ। অথচ আজ রাত ১০টা থেকে সবাই ফোন করে আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি করোনা আক্রান্ত হই, তাহলে সন্দ্বীপের সবাই আক্রান্ত। গত চার মাসে কখনোই সন্দ্বীপের বাইরে যাইনি। আমি একজন সচেতন নাগরিক। লকডাউন শুরুর পর ঘর থেকেও বের হচ্ছি না, গ্রামেরও বাইরেও যাইনি।’
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৫ এপ্রিল আমরা ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠিয়েছিলাম। আজ (শনিবার) তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এখন তিনি যেটি দাবি করছেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই। হাসপাতাল থেকে এভাবে ফোন করার কথা না। হাসপাতালে অনেকেই আছেন, তিনি কার কথা বলেছেন জানি না।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত দুই দিনে নতুন তিনটি উপজেলায় তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৩৭ দিনে চট্টগ্রামে মোট ৭৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় সনাক্ত আরো ৫ জন চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে এখন চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮১ জনে।
অপু ইব্রাহীম/এমএসএইচ