রাত ৩টায় কল পেয়ে ছুটে গেলেন খোরশেদ ও তার টিম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। করোনায় পজিটিভ মৃত ব্যক্তির লাশ ৫ ঘণ্টা পড়ে থাকলেও মৃতের পরিবারের ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ।
১৩ জুন গভীর রাত ৩টায় হঠাৎ একটি কল আসে আলোচিত কাউন্সিলর (টিম খোরশেদ ১৩ এর টিম লিডার) মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মোবাইলে। ফোন রিসিভ করার পর অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মৃতদেহকে গোসল ও দাফন কাফনের কোনো লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লাশ দাফনে (টিম খোরশেদ ১৩) সহযোগিতা চায় মৃত ব্যক্তির পরিবার।
তখন গভীর রাত। তাছাড়া তুমূল বৃষ্টি থাকায় প্রতিকূল পরিবেশের কারণে লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য একত্রিত হতে না পারায় টিমের সদস্যদের সাথে খোদ নিজেই লাশ দাফনে বেরিয়ে পড়েন কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কাউন্সিলর খোরশেদ। আর এই মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনের মাধ্যমে ৮০তম মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন করে টিম খোরশেদ ১৩।
৮০তম লাশ দাফনের পর আলোচিত এ কাউন্সিলর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আজ ১৩ জুন আমাদের ৮০তম দাফন সম্পূর্ণ হলো। তিনি আরও বলেন, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি বসির উদ্দিন মার্কেট এলাকার বাসিন্দা হাজী ইদ্রিস আলী করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যায়। তার পরিবার ১৩ জুন দিবাগত রাত ১টায় মৃতদেহ এলাকায় এনে গোসল ও দাফনের জন্য স্থানীয় কাউকে না পেয়ে রাত ৩টায় আমাকে ফোন করে সহযোগিতা কামনা করেন। তারপর আমরা রাত সাড়ে তিনটার মধ্যে একত্রিত হয়ে ভোর ৪টায় মিজমিজি পৌঁছে মরহুমের গোসল, কাফন, জানাজা শেষে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দাফন সম্পূর্ণ করেছি।
টিম খোরশেদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ শিব্বির আহমেদ, সুমন দেওয়ান, রাফি ও নাঈম। সার্বিক সহযোগিতা করেন ২নং ওয়ার্ডের তরুণ সমাজসেবক মো. ইকবাল হোসেন।
এমএএস/জেআইএম