বগুড়ায় করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু
বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ী এবং উপসর্গ নিয়ে এক পল্লী চিকিৎসক ও এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলায়। আর উপসর্গ নিয়ে মারা দুইজনের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলায়।
করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৫০) টিএসএমএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, করোনার উপসর্গ নিয়ে পল্লী চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিকী (৬০) বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে এবং ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব কুন্ডু ওরফে দয়াল (৪৩) আদমদীঘি উপজেলার নিজ বাড়িতে মারা যান।
টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল ৭টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত ব্যবসায়ী জাকির হোসেন (৫০) মারা গেছেন। তার বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের সুখানগাড়ি এলাকায়। করোনার উপসর্গ থাকায় জাকির হোসেন গত ১২ জুন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে নমুনা দিয়ে যান। পরীক্ষায় তার পজিটিভ রেজাল্ট আসলে তিনি শনিবার (১৫ জুন) দুপুর সোয়া ১২টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিকে বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে পল্লী চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিকী (৬০) মারা গেছেন। তিনি আদমদীঘি উপজেলার আলতাবনগরের বাসিন্দা। সোমবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. খায়রুল বাশার মোমিন।
ডা. মোমিন জানান, আবু বকর সিদ্দিকী শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়াও তার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা ছিল। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে আদমদীঘিতে করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজিব কুন্ডু ওরফে দয়াল (৪৩) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের সেবক কুন্ডুর ছেলে ও বগুড়া বড়গোলা যমুনা ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার।
রাজিব কুন্ডুর ভাই সুবল কুন্ডু জানান, গত ১১ জুন জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন রাজিব। সোমবার রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, মৃত ব্যক্তিসহ পরিবারের ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনসুরণ করে হিন্দুরীতি অনুসরণ করে মরদেহ দাহ করা হয়েছে।
আরএআর/এমএস