করোনামুক্ত হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন করোনাযোদ্ধা
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ হারালেন সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহকারী যশোরের মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআর) করোনাযোদ্ধা সাধনা রানী মিত্র। করোনা আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে ফের সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহে নেমে পড়েন এই করোনাযোদ্ধা।
সোমবার (০৬ জুলাই) দুপুরে হাম-রুবেলা টিকা সংক্রান্ত কাজে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মধ্যেকূল এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। যাওয়ার পথে ওড়না মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে গেলে তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রুস্তম আলী ফারাজী মঙ্গলবার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুভ্রারানী দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাধনা রানী ১৯৬৮ সালের ১ জুন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কমলেস চন্দ্র হালদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
জানা যায়, ২ এপ্রিল থেকে মণিরামপুর হাসপাতালে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন তিনি। ২৭ এপ্রিল নিজেই নিজের নমুনা সংগ্রহ করার দুদিন পর আসা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। নিয়ম মেনে আইসোলেশনে থাকার পর ১৪ দিন পর ফের নিজের নমুনা সংগ্রহ করার পর পরীক্ষায় নেগেটিভ হন। এভাবে নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় আবারও সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। এ কারণে তিনি সর্বমহলে প্রশংসিত।
মিলন রহমান/এএম/এমএস