রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫ জন করোনায় আক্রান্ত
সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মাহিদুল ইসলামসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার (১ নভেম্বর) রাতে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম এবং তার সঙ্গে তদন্ত সমন্বয় করা আরও তিনজন পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রায়হান হত্যা মামলার তদন্তের কারণে এই পাঁচজনই বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন ও অনেকের সঙ্গে মিশেছেন। ধারণা করা হচ্ছে- এ কারণেই তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় আইসোলেশনে থেকেই রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
গত ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে মো. রায়হান আহমদকে নির্যাতন করে পুলিশ। পরের দিন ১১ অক্টোবর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। নগর পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় ১৩ অক্টোবর থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
পিবিআই সূত্র জানায়, পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তরের সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে আরও তিনজন পরিদর্শক তদন্ত সমন্বয় করছিলেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাহিদুলের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। ২৯ অক্টোবর থেকে তার জ্বর ও কাশি হলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরও চারজনের মধ্যে তা ছড়ায়। রোববার সকালে তারা পাঁচজন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরে রাতে তাদের সবার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস